
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নয়জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে, ছাত্রলীগের ২৮৯ জন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলন দমনে সহিংসতায় সম্পৃক্ত আরও ৯ শিক্ষকের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশেষ সিন্ডিকেট সভার পর সোমবার রাত ৩টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। সভাটি শুরু হয়েছিল আগের দিন সকাল ১১টায়।
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ শিক্ষকের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন হয়েছে। অবসরে যাওয়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসানের পেনশন সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। শেখ পরিবারের নামে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল ও শেখ হাসিনা হলের নতুন নামকরণের জন্য পৃথক কমিটি গঠন। ১৫ জুলাইয়ের রাতকে ‘কালোরাত’ ঘোষণা— এ রাতে উপাচার্যের বাসভবনে ছাত্রলীগ ও বহিরাগতরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, এই সিদ্ধান্তগুলো শিক্ষাঙ্গনে শান্তি ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া ২৮৯ শিক্ষার্থীর পরিচয় জানা যায়নি। এদের মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের সনদপত্র স্থগিত ও স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়েছেন এমন শিক্ষার্থীদের ফল স্থগিত বা বিশেষ ক্ষেত্রে সনদপত্র স্থগিত এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফারুক