
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে, আর এর মধ্যেই ২০২৫ সালের জন্য 'ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট' সেরা অভিবাসন গন্তব্যগুলোর তালিকা প্রকাশিত করেছে। উচ্চ আয়, ক্যারিয়ার সম্ভাবনা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জীবনমানের ভিত্তিতে এই র্যাংকিং তৈরি করা হয়েছে।
শীর্ষ দেশগুলো ও তাদের বৈশিষ্ট্য:
সুইজারল্যান্ড: তালিকার শীর্ষে থাকা এই দেশটি উচ্চ আয়ের সুযোগ, ক্যারিয়ারের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক গতিশীলতার জন্য বিখ্যাত। দেশটিতে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কয়েকটি অবস্থিত, যা এটিকে শিক্ষার্থীদের জন্যও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
সিঙ্গাপুর: ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের অন্যতম ব্যবসাবান্ধব ও অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে পরিচিত। উন্নত অভিবাসন নীতি ও পরিচ্ছন্ন নগর পরিবেশ এটিকে বসবাসের জন্য আদর্শ করে তুলেছে।
অস্ট্রেলিয়া: গত এক দশকে অভিবাসীদের অন্যতম পছন্দের দেশ হলেও উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। তবুও উন্নত সুযোগ-সুবিধার কারণে এটি এখনও জনপ্রিয়।
যুক্তরাজ্য: ষষ্ঠ স্থানে থাকা যুক্তরাজ্য বিশেষত উদ্যোক্তাদের জন্য আকর্ষণীয়, যেখানে ইনোভ্যাটর ফাউন্ডার ভিসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দেওয়া হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত: বিনিয়োগ-ভিত্তিক রেসিডেন্সি ভিসার মাধ্যমে ধনী অভিবাসীদের আকৃষ্ট করছে, যেখানে ন্যূনতম বিনিয়োগের প্রয়োজন $৫৫,০০০।
এই র্যাংকিং আয়, কর্মসংস্থানের সুযোগ, জীবনযাত্রার ব্যয়, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অভিবাসন নীতির মতো পাঁচটি মূল সূচকের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
উন্নত ভবিষ্যতের সন্ধানে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য এই তালিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হতে পারে। আপনি কি নতুন দেশে পাড়ি দেওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলে এই তালিকা আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হতে পারে!
তথ্যসূত্র: https://www.visualcapitalist.com/ranked-2025s-best-countries-to-live-and-work/
আবীর