
পবিত্র রমজান মাসে কুরআন নাযিল উপলক্ষে শিক্ষার্থীর মাঝে তিনশত কোরআন উপহার বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবির।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে ঢাকা কলেজ হল মাঠের বকুলতলায় শাখা শিবির নেতা গাজী হোসাইনের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাসসিরের কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা জালাল উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক আব্দুল মালেক,বিতর্ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সোশ্যাল মিডিয়া সম্পাদক আব্দুর রশিদ সহ অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ।

তিনি আরো বলেন,আমাদের সবার উপর ইকামতে দ্বীনের কাজ করা ফরজে আইন। এ কাজ শুধু শিবিরের উপর ফরজ না। তাই আমাদের সবাইকে ইকামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে।
ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের বিতর্ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলে, বিদায় হজের ভাষণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছিলেন আমার উম্মাত যদি কোরআন এবং হাদিস আঁকড়ে ধরে থাকে তাহলে তারা পথভ্রষ্ট হবে না। আমরা কুরআনকে আঁকড়ে ধরতে না পারার কারণে আমাদের উপর জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা সবাই এই কুরআন ধারণ ও লালন করে অধ্যায়ন করার চেষ্টা করব। একমাত্র এই কোরআন নাজিলের কারণেই জাহেলিয়াতের মানুষগুলো সোনালি মানুষে পরিণত হয়েছে। আমরা যদি তাদের মত কোরআনকে লালন করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের সবাই সোনালী মানুষে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, কোরআন এসেছে মানবজাতির কল্যাণ এবং হেদায়েতের জন্য। কুরআন নাজিলের উদ্দেশ্য ২ টি, মানুষকে হেদায়েতের পথ দেখাবে এবং সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করে দিবে। কুরআন যেটাকে সত্য বলছে সেটাকে যদি আমরা সত্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারি তাহলে আমাদের জীবন পরিবর্তন করতে পারবো। আমাদের জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর ও বরকতময়। আমরা যেন এই রমাদান মাসে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি কোরআন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হয়ে জীবনকে রাঙিয়ে তুলি। কোরআন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমাজের অন্যায়-অনাচার দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব। মানবরচিত বিধান দিয়ে অন্যায় দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ মানবিক দুর্বলতা যে আছে সেই দুর্বলতা থেকে কোন মানুষই মুক্ত হতে পারবে না। একমাত্র আল্লাহর ডিরেকশন অনুযায়ী সমাজ পরিবর্তন করা সম্ভব। আমরা কোরআন পড়ে নিজেকে পরিবর্তন করব এবং সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবো।
রাজু