ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

কুবিতে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ আলোচনায় পাঁচ শত কোরআন বিতরণের ঘোষণা

মোহাম্মদ জোবাইর হোসাইন:কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:২৭, ৫ মার্চ ২০২৫

কুবিতে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ আলোচনায় পাঁচ শত কোরআন বিতরণের ঘোষণা

 

 


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আল কোরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত সভায় আগামী সপ্তাহে পাঁচ শত কোরআন বিতরণ করার ঘোষণা করা হয়েছে ।


বুধবার (৫ মার্চ) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আজাহার উদ্দীনের সঞ্চলনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ সোলায়মান। আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক।

যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক রমজানের প্রস্তুতি এবং তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “রোজা শুধু উপবাস থাকার বিষয় নয়, বরং পানাহার, কামাচার ও পাপাচার এই তিনটি বিষয় একত্রে পরিত্যাগের নাম রোজা।” তিনি উপস্থিত সবাইকে রমজানে দান-সদাকা, রোজাদারকে ইফতার করানো এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণের উপদেশ দেন।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “রমজানের যথাযথ শিক্ষা এবং প্রস্তুতির অভাবে আমরা এই মাস থেকে পরিপূর্ণ ফায়দা নিতে পারি না। বিশেষ করে এই বয়সে ইবাদত করলে পরবর্তী জীবনে তা অনেক বেশি কাজে আসে।”

প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “রমজানকে আমাদের ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমরা প্রতি বছর রমজান মাসে এমন আয়োজন চাই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশ ইমাম বলেন, “রমজানের সময়ে ১৬ বছরেও এমন আয়োজন হয়নি। তাই আমি ক্লাবের সভাপতি কায়েস ভাইকে আহ্বান জানাই, প্রতি বছর সবাইকে নিয়ে এমন আয়োজন করতে যেন তারা উদ্যোগ গ্রহণ করেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওবায়দুল্লাহ খান বলেন, “আজকের আয়োজন একটি মিলনমেলা, যেখানে প্রায় এক হাজারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একসঙ্গে ইফতার করছে। এখানে জুনিয়র-সিনিয়রদের সাথে দেখা হয়েছে, যা আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। পাশাপাশি রমজানের বিভিন্ন ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারলাম।”

কুরআন এন্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাবের আহ্বায়ক কায়েসুর রহমান বলেন, আমরা মূলত কুরআনের জ্ঞানকে জনপরিসরে ছড়িয়ে দেয়া এবং ইসলামিক কালচার নিয়ে কাজ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় রমাদানকে কিভাবে আরও প্রোডাক্টিভ করা যায় তা নিয়ে আমরা এই সেমিনারের আয়োজন করি। যাতে শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদেরকে আপ্লুত করেছে। 

তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের পরবর্তী প্রজেক্ট হলো কুরআন বিতরণ।  আগামী সপ্তাহেই এই আয়োজন হবে। এর মাধ্যমে অন্তত পাঁচশত শিক্ষার্থীর হাতে আমরা কুরআন পৌঁছে দিতে চাই।

সাজিদ

×