ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১

গণভার্সিটির সমাবর্তনে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

শিক্ষাব্যবস্থা একটা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শিক্ষাব্যবস্থা একটা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে

শিক্ষাব্যবস্থা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থা সাময়িকভাবে একটা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে। সোমবার আশুলিয়ার নলাম এলাকায় গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন আয়োজনে উপস্থিত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।

উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থা সাময়িকভাবে একটা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে। রাজনৈতিক বলয় তৈরি, পারস্পরিক সহনশীলতার অভাব, লেজুরবৃত্তিক ছাত্র-রাজনীতি, অপসংস্কৃতি, অপতৎপরতায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নির্বাচিত ছাত্র সংসদ দ্বারা ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

তিনি আরও বলেন, এটা যেমন সত্য কথা তেমনি এখানেও গুড গভার্নেন্স, ছাত্রদের ভেতরে জাগ্রত, উন্নত চেতনা ছাত্রদের মঙ্গলের জন্য, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলের জন্য, সুশৃঙ্খলতার জন্য তাদের ছাত্র সংগঠন প্রয়োজন। কিন্তু সেটা যেন দলীয় রাজনীতির জায়গায় নেমে না আসে। আর আমরা সকলেই জানি, দলীয় রাজনীতি কি ভয়াবহভাবে আমাদের ছাত্র সমাজকে ধ্বংস করেছে।

সমাবর্তনের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পিএইচডি সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। বক্তব্য প্রদানকালে তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করেন। মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, নতুন সময় তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে। 
নতুন সময়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি মন্দ চর্চার বিরুদ্ধে, মন্দ লোকদের বিরুদ্ধে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা কিন্তু সেই চেষ্টাটাই নিশ্চিত করেছি, যে মন্দ লোক মন্দ চর্চার স্থান বাংলাদেশ নয়। গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, গণবিশ্ববিদ্যালয় গণমানুষের প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান না বরং সামাজিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।

আজ দীর্ঘ এগারো বছর পর আজ সমাবর্তনের আয়োজন সম্পন্ন হচ্ছে। গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের শপথ বাক্যের কথা মনে রাখবেন। মনে রাখবেন অর্থ উপার্জন প্রয়োজন তবে গরিবের ঘাম-রক্তের ওপর দিয়ে যেন এই উপার্জন না হয়।
সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণবিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ওয়ালিউল ইসলাম, সমাবর্তন বক্তৃতা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. আবুল কাসেম চৌধুরী। 
সব শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। উল্লেখ্য, এটি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন। এর আগে ২০১৪ সালে ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত ১১ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

×