ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১

চ্যাটজিপিটি দেখে অ্যাসাইনমেন্ট করছে শিক্ষার্থীরা

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:৫৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চ্যাটজিপিটি দেখে অ্যাসাইনমেন্ট করছে শিক্ষার্থীরা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষার্থীরা এখন বই পড়ছে না। তারা অ্যাসাইনমেন্ট করছে চ্যাটজিপিটিতে। চ্যাটজিপিটি দেখেই প্রশ্নের উত্তর লিখছে, যা শিক্ষায় অশনিসংকেত।
 
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীদের চিন্তা ও চেতনাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলছে। তারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বর্তমানে এমফিল ও পিএইচডির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির ভূমিকা ন্যাক্কারজনক। এসব কারণে আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

এআই’র ওপর দক্ষতা অর্জনেও গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীজুড়ে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে হৈ চৈ পড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উদ্ভাবন ও বহুমাত্রিক প্রয়োগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আগামী দিনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাদের বিশ্বিবদ্যালয়গুলোকে এআই’র উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর মৌলিক, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গবেষণা করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তোলা যায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী বলেন, দেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং কয়েকটি উন্নত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো পড়াশোনাটা হচ্ছে। এইচএসসি পাস করার পর মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া এবং মেধাবীদের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। কারণ কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করলে দেশে ও বিদেশে চাকরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।

অধ্যাপক আমিনুল বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকপর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞানের ওপর জোর দিতে হবে। গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে। তাদের গণিত ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণে সুযোগ তৈরি করতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, একটি অসাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছাত্র-ছাত্রীরা চার বছরের অনার্স কোর্সের মধ্যে তিন বছর অনার্স পড়াশোনা করবে। এক বছর ডিপ্লোমা পড়াশোনা করবে। তাদের দুটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। একটি হলো অনার্স ও অন্যটি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট। ভবিষ্যত প্রজন্মের কর্মক্ষেত্র তৈরির জন্য কারিগরি ও পলিটেকনিক শিক্ষার ওপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে।
 
 

শহীদ

×