ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও ৫২ জনকে গুরু ও লঘু দন্ডে শাস্তি দিয়েছে। ৫ আগস্টের আগে কিছু অর্ডিন্যান্স ভঙ্গ করাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর পরিচালক (ডিএসডাব্লিউ) অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ জনকণ্ঠকে জানান, বুয়েটের অর্ডিন্যান্সের বিভিন্ন ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগ ছিল এসব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। পরে প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ৪১টি বৈঠক করেছেন। এরপর প্রতিবেদন ডিসিপ্লিমিরারি কমিটির কাছে দেয়। সেখানে কিছু সুপারিশ করা হয়। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। তারা লিখিত ও মৌখিকভাবে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের দেওয়া তথ্যমতে, আটজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং ১২ জনকে ছয় থেকে চার টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আর ৭ জনকে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা বাইরে থেকে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবেন। এছাড়াও ৬ জনকে দুই টার্ম বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তাদের এ শাস্তি স্থগিত থাকবে। তারা স্বাভাবিকভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে পরবর্তীতে তারা যদি আবারও বুয়েটের অর্ডিন্যান্সের কোনো ধারা লঙ্ঘন করেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে এ শাস্তি অর্থাৎ, দুই টার্ম বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে। বাকি ২৭ জনকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সতর্ক করা হয়েছে।
তবে, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়েও এ ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ৫ আগস্টের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
কি অপরাধে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন জানাননি তিনি। ড. এ কে এম মাসুদ জানান, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আশিক