রেজিস্ট্রার অফিসে ভাঙচুর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রেজিস্ট্রার অফিসে ভাঙচুর ও পদত্যাগের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর ও অর্থ ও হিসাব শাখাসহ বিভিন্ন দফতরে গিয়ে হুমকি প্রদান এবং দরজা-জানালায় আঘাত করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কাছে ৯ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান তার অফিসে নাস্তা করছিলেন। এ সময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী তার কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং পরবর্তী দিন থেকে অফিসে না আসার জন্য হুমকি দেন। একপর্যায়ে তারা টেবিলে থাকা কাপ-পিরিচ ভেঙে ফেলে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা রেজিস্ট্রার অফিস ছাড়াও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর ও অর্থ ও হিসাব শাখার কিছু দফতরে গিয়ে হুমকি দেন এবং দরজা-জানালায় আঘাত করেন। এছাড়াও তারা রেজিস্ট্রারের সহধর্মিণী ও অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-হিসাব পরিচালক রুবিনা আক্তারের অফিসের চেয়ারটি টেবিলের ওপর তুলে রেখে যান। তবে এ সময় রুবিনা আক্তার তার অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বে এসব ঘটনা ঘটেছে। পরে বিভিন্ন অফিসে ভাঙচুর ও হুমকির পর ছাত্রদল নেতাকর্মীরা স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণসহ ৯ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ১০-১২ জন হঠাৎ আমার কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেয় এবং বলে—‘তুই এখনো এখানে বসে আছিস কেন? কালকেই এখান থেকে সরে যাবি, নাহলে পরিণতি আরও খারাপ হবে।’ পরে তারা কাপ-পিরিচ ভেঙে চলে যায়।
প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মীর মো. মোর্শেদুর রহমান বলেন, ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী আমার রুমের সামনে এসে চেঁচামেচি করেছে এবং আমাকে শাসিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, আমরা রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়েছিলাম। তার কাছে জানতে চেয়েছি, তিনি কীভাবে এখনো আওয়ামী দোসর হিসেবে পদে বহাল থাকেন? আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি। আমাদের আহ্বায়কসহ সবাই সেখানে ছিল।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এসব বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।
সায়মা ইসলাম