ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের পাশাপাশি সাতটি দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে 'তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন' শীর্ষক ব্যানার লাগিয়ে তারা এই অনশন শুরু করেন।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা, তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা, শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা কিংবা আবাসন খরচ সরকার বহন করা, ২০২৪-২৫ সেশন থেকে আন্তর্জাতিক মানের দুটি নতুন বিষয়, আইন ও সাংবাদিকতা, যুক্ত করা, একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্য পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগ করা, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য আসন সংখ্যা সীমিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদানের জন্য গবেষণাগার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
এই আন্দোলনের বিষয়ে কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, "সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, সাতটি কলেজকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে এখান থেকে জানিয়ে দিচ্ছি, তিতুমীর কলেজ বাকি ৬ কলেজের সাথে একই দাবিতে নেই। ছয় কলেজে তাদের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করছেন এবং আমরা তাদের আন্দোলনকে সাধুবাদ জানাই এবং তিতুমীর কলেজের সাথে তাদের আমাদের কোন সাংঘর্ষিক সমস্যা নেই।।"
তিনি আরও জানান, "তারা তাদের আন্দোলন করবেন, আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের একটাই দাবি, তিতুমীর কলেজকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা।"
এই আন্দোলনটি দীর্ঘ ২৮ বছরের সংগ্রামের ফলস্বরূপ বলে মন্তব্য করেন এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, "আমরা ১৯৯৭ সালে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানাই, যার পরবর্তী বছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা তুলে দেওয়া হয়, যাতে তিতুমীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সহজ হয়। ২০০৫ সালে তিতুমীর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে আমরা আবার আন্দোলন শুরু করি।"
এদিকে, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ ইসলাম অনিক জানান, "আমাদের পাঁচজন শিক্ষার্থী গতকাল থেকে আমরণ অনশনে বসেছি। আজ আমরা রাজপথে নেমেছি। আমাদের দাবি একটাই— তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই। তবে আমাদের আরো কিছু দাবি রয়েছে। সরকার যদি আমাদের এসব দাবি মেনে না নেয়, তবে আমরা অনশন-বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।"
এদিকে, শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের আন্দোলন ততদিন পর্যন্ত চলবে, যতদিন না তাদের দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে নেওয়া হয়।
কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে এখান থেকে জানিয়ে দিচ্ছি, তিতুমীর কলেজ বাকি 6 কলেজের সাথে একই দাবিতে নেই। ছয় কলেজে তাদের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করছেন এবং আমরা তাদের আন্দোলনকে সাধুবাদ জানাই এবং তিতুমীর কলেজের সাথে তাদের সাথে আমাদের কোন সাংঘর্ষিক সমস্যা নেই।
নুসরাত
