ছবি - জনকণ্ঠ
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় বিক্ষোভ মিছিলটি জবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রফিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে ছাত্রলীগকে যেমন আচরণ করতে দেখেছি আজকে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এসে দেখতে পারছি ছাত্রদল একই আচরণ করছে। তারা আরো বলেন, পুনরায় কেউ যদি ফ্যাসিস্ট আচরণ করেন তাহলে পুনরায় ১৫ জুলাইয়ের ডাক দেওয়া হবে।
জাস্টিস ফর জুলাই এর আহ্বায়ক সজিবুর রহমান বলেন, একটি সংগঠন বলেছে আমরা যেনো তাদের ভুলভ্রান্তিগুলো ধরিয়ে দেই। কিন্তু সেই দলেরই একজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি এর প্রোগ্রামে ভিন্ন একটি দলের ট্যাগ দিয়ে সেখানে অপ্রীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। সেই একই কর্মী গতকাল শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করলো। তার মানে সেই সংগঠনের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার কথা গুলো শুধুই মেকি। আমরা এখনো দেখতে পারছি জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছাত্রলীগের কারও বিচার হয়নি। যার ফলে একটি দল মনে করছে তারাও তাদের কাজের বিচার হবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি এর সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, ছাত্রলীগ যেমন আচরণ করেছে, আমরা দেখতে পারছি ছাত্রদলও একই আচরণ করছে। আমরা এটা মোটেও আশা করি না। তাদেরকে আমরা আমাদের শুভাকাঙ্খী হিসেবে দেখতে চাই। আমরা প্রশাসনের অবহেলা দেখতে পারছি এ ঘটনায়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল আলীম আরিফ বলেন, এক পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে হত্যা-ধর্ষণ করেছে। আমরা এক নব্য ফ্যাসিস্টদের দেখতে পারছি যারা জুলাই এর চেতনা বিক্রি করে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। আমরা আপনাদের অনুরোধ করবো শিক্ষার্থীদের পালস বুঝে রাজনীতি করেন। আমরা প্রশাসনকে বলবো, তারা যেন এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করে।
এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবুল বাসার বলেন, তারা আমাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে রাখায় আমরা সরে আসতে পারি নাই। আকাশকে পরে আমরা ডিপার্টমেন্টে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। পরে আমাদের এক শিক্ষক এসে হামলাকারীদের থামায়
জাফরান