ছবি : সংগৃহীত
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত দশটায় কলেজটির বকুল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মিছিলটি হলপাড়া ঘুরে কলেজের মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় "২৪ এর হাতিয়ার ,গর্জে উঠুক আরেকবার,' আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ,' 'হৈহৈ রৈরৈ, ছাত্রলীগ গেলি কই? ছাত্রলীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; ২৪ এর রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না,' 'আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান,' 'ছাত্রলীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান,' 'ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে , ডাইরেক্ট একশন,' 'আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ,ডাইরেক্ট একশন" ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জিহাদ হোসাইন বলেন, বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লব সূচনাকারী অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। যে রক্ত সাগরের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সেই ছাত্রলীগ যখন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়, তখন আমরা বলব তাদেরকে দেখে নিবো। আমাদের ভাইদের যারা হত্যা করেছে, তারা যখন বলে জুলাই হত্যাকারীদের হঠাও, আমরা বলতে চাই এটা হাস্যকর। আমরা এই খুনি সংগঠনকে বাংলাদেশে দেখতে চাইনা। তাদেরকে যদি বাংলাদেশে দেখা যায়, তাহলে প্রতিটি জনগণ এটার প্রতিহত করবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই খুনিদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের ভাইয়েরা যে স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতা আমরা এখনো উপভোগ করতে পারিনি। কারণ নিষিদ্ধ সংগঠনের আনাগোনা এখনো রয়েছে। কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা ঢাকা কলেজের গেইট থেকে শেখ হাসিনার বিকৃত ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে। সেই ছাত্রলীগকে আমরা বাংলাদেশ থেকে সমূলে উৎপাটিত করে ছাড়ব।
তিনি আরও বলেন, যেসব পুলিশ বাহিনী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত তাদেরকে তদন্ত স্বাপেক্ষে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং আমরা সরকারকে বলতে চায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক যে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে তা যদি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হয় তাহলে আপনাদের প্রশাসনকে ছাত্রসমাজের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সর্বোপরি আমরা বলতে চায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি সন্ত্রাসীকে বিচারের আওতায় অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, ২৯ জানুয়ারি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট ও প্রচারপত্র বিলি, ৬ তারিখে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ তারিখে বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৬ তারিখে সড়ক-রেল-জল ও বিমান বন্দর অবরোধ কর্মসূচি, ১৮ তারিখে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবেন তারা।
জুবায়ের/মো. মহিউদ্দিন