ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

শিক্ষকদের মধ্যে স্বস্তি

ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত

ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ

শিক্ষকদের টানা ১০ দিন আন্দোলনের মুখে দেশের নিবন্ধনভুক্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একসঙ্গে মাদ্রাসাগুলো সরকারিকরণ না করা হলেও তা পর্যায়ক্রমে করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এস এম মাসুদুল হক।
জাতীয়করণে দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে দেশজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়। নিগ্র্রহের পরও তারা আন্দোলন চালিয়ে যান। একপর্যায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। 
এর আগে দুপুরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের বিষয়ে সভায় বসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেখানে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। এস এম মাসুদুল হক বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ছয় দফা দাবি মেনে নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. শামছুল আলম বলেন, ১৯৭৮ সালের ৯ অর্ডিন্যান্স ২ এর ধারা মোতাবেক প্রায় ১৮ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯৮৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৪২ (৪০) নম্বর স্মারকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে প্রাইমারি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা সমমান নির্ধারণ করে।

১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে রেজিস্ট্রার প্রাইমারি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা ২০১০ এর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মতো ইবতেদায়ি শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ২০১৩ সালে ৯ জানুয়ারি জাতীয়করণ ঘোষণা করে। কিন্তু ১টিও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হয়নি। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তে শিক্ষকদের মধ্যে স্বস্তি এলো।

×