ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা বিষয় নিয়ে উত্তেজনা যেন থামছেই না বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরইমধ্যে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগে আরও ঘোলাটে হচ্ছে পরিবেশ।
রবিবার দিবাগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, দুটি অভিযোগ পেয়েছি। মামলা হিসেবে নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি দুটি অভিযোগের তদন্ত চলছে।
সূত্রমতে, সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় গত ২৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এরমধ্যে ববি'র ২৪ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে বরিশাল বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসার সানোয়ার পারভেজ লিটন।
অভিযুক্তরা অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রুমান হোসেন অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ অভিযোগে আসামি করা হয়েছে ১৫ জন ছাত্রকে। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক শাহরিয়ার সান নামে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে দরজা ভেঙে ছাড়িয়ে নিয়ে বিজয় মিছিল করেন সহপাঠীরা। শাহারিয়ার আইন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
ওই ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে প্রক্টরের কাছে গত ৫ আগস্টের আগে হামলার জন্য কেন মামলা নেওয়া হয়নি, তার কৈফিয়ত চান। পরে চাঁপের মুখে গত ২৫ জানুয়ারি রাতে ২৪ জন ছাত্রকে আসামি করে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ববি প্রশাসন।
গত ৫ আগস্ট হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলার বাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রুমান হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলাম। ৫ আগস্ট বিকেলে আমাকে মেরে বিবস্ত্র করে ক্যাম্পাস ঘোরানো হয়েছে।
চরম নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশ আমার মামলা নিয়েছে। মামলায় তমালসহ কয়েকজন আসামি রয়েছে। এরা ৫ আগস্টের পর থেকে ভয় দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নানা অপকর্ম করছে।
তবে মাহমুদুল হাসান তমাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেন সাধারণ ছাত্ররা। তাকে ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগ।
ওই ঘটনার পর প্রক্টরকে বিষয়টি জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানাই। সে অনুযায়ী ২৪ জনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থানায় এজাহার দিয়েছে। যাদের নাম আছে তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
রবিবার দিবাগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, দুটি অভিযোগ পেয়েছি। মামলা হিসেবে নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি বিষয় দুটির তদন্ত চলছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরসহ একাধিক কর্মকর্তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এম.কে.