ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১

কোটা দিয়ে কী ডাক্তার হবে?

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

কোটা দিয়ে কী ডাক্তার হবে?

ছবি: সংগৃহীত।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের জন্য শিক্ষার্থীরা সোমবার (২০ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেন। তারা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল সংশোধনের জন্য সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংহতি প্রকাশ করেন এবং বিক্ষোভকারীরা নানা স্লোগান দেন।

গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অভিযোগ উঠেছে যে, অনেক পরীক্ষার্থী, যারা ৪০ বা ৪১ নম্বর পেয়েছেন, তারা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, অথচ যারা তাদের চেয়ে দ্বিগুণ নম্বর পেয়েছেন, তারা ভর্তি হতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দোহা বলেন, “বৈষম্য দূর করার দাবিতে সফল আন্দোলনের পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ হওয়া উচিত নয়। পাশ মার্ক যখন ৪০ হয়, তখন ৩৭ বা ৩৮ নম্বরের কেউ কীভাবে ভর্তি হতে পারে? আমরা আজ এই বৈষম্যের অবসান দাবি করছি।”

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, “আগের বছরগুলোতে কাট-অফের সামান্য নিচে নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা কোটার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারত। কিন্তু এ বছর কাট-অফের নিচে ৩০ থেকে ৩৫ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা কোটা পদ্ধতিতে ভর্তি হয়েছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল করে আজ পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।”

এ সময় এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, “যারা কোটার মাধ্যমে ডাক্তারি পড়তে যাচ্ছেন, তাদের কীভাবে বলা যাবে তারা ভালো ডাক্তার হবে? ৩৭-৩৮ পেয়ে সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায়।”

অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, “মেডিকেল পরীক্ষা একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। আমরা সবাই দুই-তিন বছর পরিশ্রম করে এখানে চান্স পাই। কিন্তু কোটার ভিত্তিতে যদি কেউ ভর্তি হয়, তাহলে আমরা কীভাবে ভালো ডাক্তার পাব?”

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, “সরকারি মেডিকেল কলেজে আগে ২% কোটা ছিল, পরে তা ৫% করা হয়। যেখানে ৭৫+ পেয়ে কেউ চান্স পায় না, সেখানে ৪০ নম্বর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটার মাধ্যমে ভর্তি হওয়া কীভাবে যুক্তিযুক্ত?”

একজন অভিভাবক বলেন, “যে কোটা আন্দোলনে এত মানুষ প্রাণ দিয়েছে, সেই কোটা এখনো কেন বহাল থাকবে?”

শিক্ষার্থীরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।

নুসরাত

×