জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক পরাক্রম ও স্বকীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতা, নির্বাচনের সময় নির্দিষ্ট প্রার্থীদের ট্যাগিং করে অপপ্রচার চালানো, গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘন, যৌক্তিক আন্দোলনে নীরবতা, এবং অন্যায়কে ধামাচাপা দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে জোটভুক্ত দুটি সংগঠন তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। এর পরপরই জোটের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংস্কৃতিক জোটের সদ্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বান্না আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেন। এ সময় জোটভুক্ত জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার ও চিরকুট সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সায়েদা মেহের আফরোজ শাওলি লিখিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠ করেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, “জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট তার ঐতিহাসিক পরাক্রম ও স্বকীয়তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। গত এক বছরে জোটের কার্যক্রমে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত রাজনীতিতে নিষ্প্রভতা দেখা গেছে। জনবিচ্ছিন্ন এই কর্মকাণ্ডের ফলে জোট কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “গণতান্ত্রিক নির্বাচনের নামে প্রহসনমূলক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনী স্বচ্ছতার অভাবে জোট তার মৌলিক নীতি থেকে বিচ্যুত হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘন এবং সদস্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগহীনতা পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে।
জোটের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস পরেও নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হয়নি। এমনকি নিয়মিত কার্যনির্বাহী সভা কিংবা সাধারণ সভার আয়োজনের ক্ষেত্রেও গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘন হয়েছে।”
এছাড়া জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহানের বিরুদ্ধে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের অভিযোগ তোলা হয়। উল্লেখ করা হয়, তিনি নারী নিপীড়নের অভিযোগকে ব্যক্তিগত বিষয় বলে আখ্যা দিয়ে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের হারানো ঐতিহ্য ও জৌলুস পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সক্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত নির্বাচনের আয়োজন করব।”
এম.কে.