ছবি সংগৃহীত
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। এসব পণ্যের মধ্যে সিগারেটের মতো তামাকজাত পণ্যও অন্তর্ভুক্ত। নতুন এই মূল্যবৃদ্ধি ঢাকার বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিড়ি ও সিগারেটের দামে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি করা নির্দেশনায় দেখা যায়, নিম্নস্তরের বিড়ি ও সিগারেটের দাম প্রায় ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী মনে করছেন, এই দাম বৃদ্ধির ফলে তাদের দৈনন্দিন ব্যয়ে চাপ বাড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমাদের মতো সীমিত আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটা বড় সমস্যা। ক্যাম্পাসের জীবন এমনিতেই ব্যয়সাপেক্ষ, তার ওপর সিগারেটের মতো পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া আমাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, হঠাৎ করে বছরের শুরুতে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সিগারেটের দাম বাড়ানোকে আমরা ভালোভাবে নিচ্ছি না। অতি শীঘ্রই এর দাম না কমালে সরকারে বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে আমার বাধ্য হবো।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে তামাকজাত পণ্যের ওপর নতুন কর আরোপ করা হয়েছে। বিড়ি ও সিগারেটের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
আশিক