ছবি : সংগৃহীত
মধ্যরাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও আবাসিক হলগুলোতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে গণ-কোরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়াহ কমিউনিটি'র ব্যান্যারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে কিছু অংশ তিলাওয়াত করেন। তারা হলেন- আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের আতিকুল্লাহ, ইতিহাস বিভাগের আতিক শাহরিয়ার, সাদিকুন্নবি, হারুনর রশীদ ও হাফেজ মেহেদী হাসান।
এ ব্যাপারে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মুসলিমদের জন্য কোরআন হচ্ছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এই গ্রন্থের সঙ্গে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশে এর আগে কখনো ঘটেনি। একজন মানুষ যেকোনো ধর্মের অনুসারী হতে পারে কিন্তু কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে অবমাননা করতে শিখায় না। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব যেন এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে অনতিবিলম্বে চক্রান্তকারীদের খুজে বের করে। এটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে। তাই এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. মাঈন উদ্দীন। তিনি বলেন, 'গতকাল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হলের ছাদে, আঙ্গিনায় আল্লাহর কালাম পুড়িয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। যার উদ্দেশ্য আমরা বুঝতে পারছি। আগস্ট বিপ্লবের পরে পরাজিত শক্তি মাথা লুকিয়ে আছে। তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। তারা চায় আমাদের ক্যাম্পাস অচল হয়ে যাক, সমাজে হানাহানি শুরু হোক। কোরআন পোড়ানোর ঘটনা এ ধরনের চক্রান্তের অংশবিশেষ। একটা ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির বিপরীতে শিক্ষার্থীদের এত সুন্দর গঠনমূলক কর্মসূচি আমাকে খুশি করেছে।'
এ সময় বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
লুবনা শারমিন/মো. মহিউদ্দিন