ময়মনসিংহে আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
ময়মনসিংহে আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হলের সিট নবায়নকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয়ক-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে ক্যাম্পাসে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়ে চলে ৭টা পর্যন্ত। আহতরা হলেন- মেহেদী হাসান শিমুল, আল আমিন, সবুজ, রিফাত, তানভীরসহ অজ্ঞাত প্রায় ১০ জন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহত সবার নাম জানা সম্ভব হয়নি।
আকরাম হোসাইন অপু নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আশপাশে যতগুলো কলেজ রয়েছে, হলে তাদের সিট চার্জ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু আমাদের দিতে হচ্ছে ৭ হাজার টাকা। তা কমানোর জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এ বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে আজ রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা যথাসময়ে গেলেও স্যার আমাদের সঙ্গে না বসে ছাত্রদল ও সমন্বয়কদের সঙ্গে বসেন।
তিনি বলেন, পরে স্যার বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলে ছাত্রদল ও সমন্বয়করা ক্ষেপে গিয়ে আমাদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করেন। এতে আমাদের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।’
আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হাজ্জাতুল হাসান মুন বলেন, ‘হোস্টেলে এখনো ছাত্রলীগের পদধারী নেতাকর্মী রয়েছে। তারা অন্যায়ভাবে অধ্যক্ষ স্যারকে স্যরি বলাতে বাধ্য করেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সমন্বয়করা রয়েছে।’
আনন্দ মোহন কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান বলেন, ‘যা হচ্ছে, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই হচ্ছে।’ এ বিষয়ে আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘হলের সিট নবায়ন ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। সঙ্গে সেনাবাহিনীও রয়েছে।’
শহীদ