জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসন সহ ৩ দাবিতে গণ অনশনে শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্নতা পোষণ করে অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.রেজাউল করিম।
আজ রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্নতাতা পোষন করে অনশনে বসেন তিনি। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্নতাতা পোষণ করে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড.তাজামুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দীন, অধ্যাপক ড.বেলাল হোসেন অনশনে বসেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ৩ দাবিতে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি গুলো হলো-সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে; পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে; যতদিন অব্দি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এবিষয়ে জবি গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি কে এম রাকিব বলেন, আমরা ৩ দাবিতে গণ অনশনে বসেছি। ২য় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য যে বড় একটা আন্দোলন হলো এবং সেখানে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করতে পারে কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রশাসনের এ ব্যাপারে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই তাই আমরা গণ অনশন কর্মসুচি ঘোষণা করেছি।
শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্নতাতা পোষণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, তোমরা যে দাবিদাওয়া তোমরা করছো সেই দাবি আমারও। তার ব্যাপারে আজ মন্ত্রণালয়ে চিঠি গেছে। আমরা আজ সারা দিন তোমাদের খোঁজ রাখছি। প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখছি। আমরা আমাদের এ আন্দোলনের ফলাফল পাবো। আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আমরা কথা দিচ্ছি, আমরা তোমাদের দাবি অনুযায়ী কাজ করবো। ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে আমরা একটা কমিটি গঠন করে সকল বিষয় জানাবো। সিদ্ধান্ত নিব।
মামুন/রাজু