ছবি সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটির শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলাকালে জবি ছাত্রদল কর্মী অনিক কুমার দাসের বিশৃঙ্খল ও উদ্ধত আচরণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া সংগঠনগুলো।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) একটি যৌথ বিবৃতিতে তাদের এ উদ্বেগের কথা জানায় সংগঠনগুলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য চত্বরে হিউম্যান রাইটস সোসাইটির শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলাকালীন শাখা ছাত্রদলের কর্মী অনিক কুমার দাস (মার্কেটিং, সেশন: ২০২১-২২) কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা ও আক্রমণাত্মক আচরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করছি। ঐতিহাসিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এমন ঘটনা ক্যাম্পাসে সংগঠনগুলোর স্বাধীন কার্যক্রম পরিচালনা এবং মতামত প্রকাশের অধিকারের প্রতি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তারা আরও উল্লেখ করেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার যেকোনো সমাজের প্রগতির মৌলিক শর্ত। এই অধিকারসমূহ বাংলাদেশের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। মানববন্ধনে বাধা প্রদান কেবল মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এছাড়াও এটি সংগঠনগুলোকে স্বাধীন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে চিন্তিত করে তোলে।
এছাড়াও বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান করে সংগঠনগুলো।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব লিমন, জবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আসাইফ ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজ, জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি অমৃত রায় ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে রাহনুমা রাদিয়া, জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি তামজিদা ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের সভাপতি আলিমুল ইসলাম সহ অনেকেই।
আশিক