ছবি : সংগৃহীত
ফেলানী হত্যা দিবসে ভারতীয় বাহিনী দ্বারা সীমান্তে হত্যা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখা।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় বটতলা থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইমরান শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় সদস্য সচিব তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, চব্বিশের আন্দোলন শুধু হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই ছিলোনা, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও ছিলো। ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের গালে চপেটাঘাত করেছি। স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই ভারত সরকার যদি এখনও বাংলাদেশকে তার অঙ্গরাজ্য মনে করে তাদের এর উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। বিগত সরকারের আমলে যতগুলো চুক্তি হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেগুলো জনগণের সামনে আনতে হবে। সীমান্তে প্রত্যেকটি হত্যার বিচার করতে হবে। তা নাহলে বাংলাদেশের মানুষ আবার ফুঁসে উঠবে।
সমাপনী বক্তব্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, শুধু ফেলানি হত্যা নয় এরকম শত শত হত্যার বিচার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার করে নাই। যার কারণে বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আগামীদিনে সীমান্তে আর কোন হত্যাকাণ্ড দেখতে চাইনা। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত বাংলাদেশের উপর সবসময় আধিপত্যবাদী মনভাব দেখিয়েছে। আমরা ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি। ফ্যাসিস্ট আমলের পররাষ্ট্রনীতি ছুড়ে ফেলতে হবে।তাহলে ভারত আর এই আধিপত্যবাদী মনোভাব দেখাতে পারবে না। আজকে আমরা ফেলানি হত্যার জন্য দাড়িয়েছি।আর যেন কোন ভাইবোনের জন্য দাড়াতে না হয়।
ওয়াজহাতুল ওয়াস্তি/মো. মহিউদ্দিন