গ্রাফিতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)-সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে থাকা শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, ওই স্তম্ভকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
রোববার বিকালে প্রক্টরিয়াল টিমের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, গতরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের দুটি পিলারে থাকা শেখ মুজিব এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়।’’
এতে আরও বলা হয়, ‘‘এই গ্রাফিতিগুলি জুলাই আন্দোলনে বিপ্লব, প্রতিরোধ এবং ফ্যাসিবাদ ধ্বংসের প্রতিনিধিত্ব করে। এই স্মৃতিকে তাজা রাখা এবং প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’’
গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনাকে প্রক্টরিয়াল টিমের ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে এর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে গত রাতেই শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতি আবার আঁকেন।’’ তারা আরও জানায়, ‘‘এই স্তম্ভটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার এই ঘৃণাকে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।’’
শনিবার রাতে টিএসসি সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি (‘ঘৃণাস্তম্ভ’) মুছে ফেলা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাশের ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ এলাকায় জড়ো হন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের অনুমতি নিয়ে এই কাজ করা হয়েছে জানতে পেরে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
বিক্ষোভের মধ্যে শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতির ওপর আবারও শেখ হাসিনার একটি নতুন গ্রাফিতি আঁকেন।
আর কে