শিশুদের জন্য কার্যকরী পড়ার অভ্যাস তৈরি করা তাদের স্মরণশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু অভ্যাস তুলে ধরা হলো যা তাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়াতে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে:
১. নিয়মিত পড়ার সময়সূচি তৈরি করুন
নিয়মিত পড়াশোনার অভ্যাস শিশুদের পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ায়, স্মরণশক্তি উন্নত করে এবং পরীক্ষার চাপ কমায়। একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসরণ করলে প্রস্তুতি অনেক ভালো হয়।
২. পড়ার সময় ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করুন
পড়ার সময় বেশি তথ্যের চাপ এড়াতে অধ্যায় বা বিষয়গুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করুন। এতে মনোযোগ বাড়বে এবং পড়াশোনা সহজ ও কম চাপযুক্ত হবে।
৩. সক্রিয় পুনরুদ্ধার
শিশুকে তাদের শেখা বিষয় নিজে নিজে পরীক্ষা করতে উৎসাহিত করুন। এটি তাদের বোঝাপড়া বাড়ায়, স্মরণশক্তি উন্নত করে এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
৪. ভিজ্যুয়াল উপকরণ ব্যবহার করুন
ডায়াগ্রাম, চার্ট এবং মাইন্ড ম্যাপ ব্যবহার করে জটিল বিষয়গুলো সহজে বোঝানো যায়। এগুলো দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মনে রাখতে সাহায্য করে।
৫. বিরতি নিতে শেখান
পড়ার সময় ছোট ছোট বিরতি নেওয়া মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেয়, নতুন তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে এবং মনোযোগ বাড়ায়।
৬. মেমোনিক্স ব্যবহার করুন
জটিল বিষয়গুলো সহজে মনে রাখার জন্য শিশুদের মেমোনিক্স বা সংক্ষিপ্ত রূপ তৈরি করতে সহায়তা করুন। এটি মূল ধারণাগুলো মনে রাখার দক্ষতা বাড়ায়।
৭. গল্প বলার কৌশল
পড়ার বিষয়গুলোকে গল্পে রূপান্তর করুন। এতে বিষয়ের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হয় এবং তা দীর্ঘদিন মনে থাকে।
৮. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
পর্যাপ্ত ঘুম শিশুর মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে এবং স্মৃতি সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ায়।
৯. বিভিন্ন পড়ার পদ্ধতি ব্যবহার করুন
পড়া, লেখা ও বলা—এই তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে পড়াশোনা করলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। এটি শিশুদের পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ায় এবং বিষয়গুলো আরও সহজে বোঝায়।
১০. নিয়মিত পুনরালোচনা করুন
শেখা বিষয়গুলো পুনরালোচনা করলে বোঝাপড়া আরও গভীর হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি শক্তিশালী হয়। এতে প্রয়োজনীয় তথ্য সহজে মনে আনা যায়।
শিশুদের জন্য উপরের অভ্যাসগুলো গড়ে তুললে তারা পড়াশোনায় আরও দক্ষ হবে এবং ভালো ফলাফল করতে পারবে। অভিভাবকদের উচিত শিশুদের এসব অভ্যাস রপ্ত করতে উৎসাহিত করা।
রাসেল