ছবি: সংগৃহীত
বিদেশে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা সফল করতে সঠিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ, সত্যায়ন, ভাষাগত দক্ষতা অর্জন এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই থেকে শুরু করে রান্না ও ড্রাইভিং শেখার মতো দৈনন্দিন দক্ষতা আয়ত্ত করা—সবকিছুই পরিকল্পনার অংশ। এই গাইডলাইনে বিদেশে উচ্চশিক্ষার এক বছর আগে থেকে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, তার বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১. নাম সংশোধন: নিজের এবং পিতামাতার নামের বানান এবং তথ্য সার্টিফিকেটে সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করুন। জন্মসনদ, সার্টিফিকেট এবং পিতামাতার এনআইডি-তে একই নাম নিশ্চিত করুন। যদি কোনো ভুল থাকে, তা সময়মতো সংশোধন করুন।
২. পাসপোর্ট প্রস্তুত: পাসপোর্ট তৈরির সময় নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সঠিকভাবে উল্লেখ করুন। নিশ্চিত করুন যে জন্মসনদ এবং অন্যান্য ডকুমেন্টের সাথে পাসপোর্টের তথ্য মিলে যায়।
৩. শিক্ষাগত ডকুমেন্ট সংগ্রহ: এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক পর্যায়ের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করে রাখুন।
৪. সত্যায়ন: শিক্ষামন্ত্রক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সার্টিফিকেটগুলো সত্যায়িত করিয়ে রাখুন।
৫. IELTS প্রস্তুতি: IELTS পরীক্ষার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন। কাঙ্ক্ষিত স্কোর তুলতে অনেকের বেশি সময় লাগে, যা শিক্ষার ধারাবাহিকতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
৬. স্কলারশিপ প্রস্তুতি: আন্ডারগ্র্যাজুয়েটদের জন্য SAT/ACT এবং গ্র্যাজুয়েটদের জন্য GRE/GMAT পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।
৭. রেকমেন্ডেশন লেটার: আপনার পরিচিত শিক্ষকদের কাছ থেকে অন্তত দুইটি রেকমেন্ডেশন লেটার সংগ্রহ করে রাখুন।
৮. SOP লেখা: স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP) লেখার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন। নিজের ভাষায় সাবলীলভাবে লিখে নিন এবং প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের সহযোগিতা নিন।
৯. বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন: যে দেশে পড়তে যেতে চান, সেই দেশের অন্তত পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন। আপনার পূর্বের পড়াশোনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয় বেছে নিন।
১০. বাজেট পরিকল্পনা: আপনার বাজেট এবং পছন্দের শহরের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন।
১১. আবেদনের সময়সীমা: নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদনের শেষ তারিখ সম্পর্কে জানুন এবং সময়মতো আবেদন করুন।
১২. ভলান্টিয়ার কাজ: কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকুন এবং কাজের প্রমাণ রাখুন। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
১৩. রান্না শেখা: বিদেশে নিজেকে রান্না করতে হবে, তাই আগে থেকেই রান্না শেখা ভালো।
১৪. ড্রাইভিং শেখা: ড্রাইভিং শিখে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে রাখুন। সম্ভব হলে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সও তৈরি করুন।
১৫. কম্পিউটার দক্ষতা: Microsoft Office, Word, PowerPoint-এর মতো সফটওয়্যারের কাজ শেখার পাশাপাশি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করুন। এগুলো বিদেশে আপনার কাজে লাগবে।
নাহিদা