আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার, রিটকারীদের নেতা ও সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ বলেছেন, ২০১৮ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নীতির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের ও জাতীয় দৈনিকে শত শত প্রতিবেদন প্রকাশ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছিলাম।
সোমবার বিজয় দিবসে রাজধানীর সন্নিকটে অবস্থিত আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আয়োজিত শিশুশিক্ষার্থীদের দেশাত্ববোধক গান ও কবিতাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এই ভাষাসৈনিক সন্তান বলেন, ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবে দিন রাত একাকার করে বিপ্লবের পক্ষে কলমযুদ্ধ চালিয়ে ইনকিলাবের পাতা রঙিন করেছি, যখন শিক্ষার্থীরা রাঙিয়েছিল রাজধানীর দেয়ালগুলো।
৫৬% কোটার কারণে বিসিএসে বঞ্চিত হওয়া এই মেধাবী সাংবাদিক বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার রিটকারী ও মাঠের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিনিধি অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা উচিত। কারণ, তাদের শুরু করা আন্দোলনের পথ ধরেই জুলাই বিপ্লব। তিনি বলেন, আমরা যেমন দু’হাজার শহীদের রত্নস্নাত নতুন বাংলাদেশকে সাজাতে চাই, তেমনি জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পরিবার যেন বঞ্চিত না হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের আহবান করি। তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদ, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’। এবারের যুদ্ধ হবে স্বৈরাচারমুক্ত, দারিদ্রমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যয়ে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বিজয় দিবসের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান ভুঁইয়া। বক্তব্য রাখেন স্কুলের উপদেষ্টা ফরহাদ হোসেন ভুঁইয়া, পূর্ব সাহেবপাড়া জামে মসজিদের সেক্রেটারী সহিদুল হক খান ঝন্টু, অভিভাবক প্রকৌশলী জহিরুল হক, ইংরেজি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, আবদুস সবুর ও শিফট ইনচার্জ শাম্মী আক্তার। পরে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ফজলু/শহীদ