কঠিন কোনো বিষয় দ্রুত আয়ত্ত করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সঠিক রুটিন ও কার্যকর অধ্যয়ন অভ্যাসের মাধ্যমে এটি সম্ভব। নিচে কঠিন বিষয় সহজে ও কম সময়ে শেখার জন্য কার্যকর ৮টি কৌশল তুলে ধরা হলো:
১. নোট পড়ার বদলে অ্যাকটিভ রিকল চর্চা করুন
শুধু নোট পড়ার বদলে, নিজেকে পরীক্ষা করুন। বই বন্ধ করে বিষয়টি নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করুন বা প্রশ্নের উত্তর দিন। এতে মস্তিষ্ক বিষয়টি বেশি ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।
২. পমোডোরো টেকনিক ব্যবহার করে ফোকাসড স্টাডি
পমোডোরো টেকনিক সময়কে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে মনোযোগী পড়াশোনায় সহায়তা করে। ২৫ মিনিট পড়াশোনার পর একটি ছোট বিরতি নিন। এই পদ্ধতিটি সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৩. স্পেসড রিপিটিশন ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতি তৈরি
স্পেসড রিপিটিশন পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময় পরপর বিষয়গুলো পুনরায় পড়া হয়। ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি বা অ্যাপ ব্যবহার করে মূল ধারণাগুলো নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করলে স্মৃতিতে বেশি দিন থাকে।
৪. ভিজ্যুয়াল লার্নিং টুলস এবং মাইন্ড ম্যাপিং
মাইন্ড ম্যাপ ও ডায়াগ্রাম তৈরি করলে জটিল ও বিমূর্ত বিষয়গুলো সহজ হয়ে যায়। এগুলো ধারণাগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভেঙে শেখায় এবং বিষয়গুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্ট করে।
৫. মুখস্থ করার আগে মূল ধারণা বুঝুন
শুধু তথ্য মুখস্থ করলেই চলবে না; মূল ধারণাগুলো বুঝতে হবে। কোনো বিষয়ের মৌলিক বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করা ছাড়া জটিল অংশ শেখা কঠিন। কেন এবং কীভাবে তা ঘটে, সেটি বুঝতে চেষ্টা করুন।
৬. শেখা বিষয় অন্যকে শেখান
কোনো বিষয় অন্যকে বোঝানোর চেষ্টা করলে তা নিজের মস্তিষ্কে আরও ভালোভাবে গেঁথে যায়। এতে বিষয়টি ভিন্নভাবে চিন্তা করতে হয় এবং নিজস্ব ভাষায় ব্যাখ্যা করতে হয়, যা শেখার গভীরতা বাড়ায়।
৭. বড় কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন
কোনো কঠিন বিষয় সম্পূর্ণ আকারে দেখলে তা ভীতিকর মনে হতে পারে। বিষয়গুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন। এতে চাপ কমে এবং প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে আয়ত্ত করা সহজ হয়।
৮. অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করুন
বর্তমান ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন টুলস ব্যবহার করে শেখা সম্ভব। ইউটিউব ভিডিও, অনলাইন কুইজ বা ফোরাম আপনাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বুঝতে সাহায্য করবে।
এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে কঠিন বিষয় দ্রুত ও কার্যকরভাবে শেখা সম্ভব।
নাহিদা