জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সপ্তম আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফিন্যান্স বিভাগ। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে ইংরেজি বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। খেলার নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছিল।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া উপ-কমিটির (ফুটবল ও হকি) আয়োজনে এবং শরীরচর্চা শিক্ষা কেন্দ্রের সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় আগ্রহী করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। প্রতিযোগিতাটি উপভোগ্য ও সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারায় শিক্ষার্থীরাসহ আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ। খেলার মাঠটিকে সবুজায়ন ও উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপ-কমিটির (ফুটবল ও হকি) আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহা. আলী নূরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, জীবনে ধৈর্য, সাহসিকতা ও সহমর্মিতা থাকলে যে কেউ এগিয়ে যেতে পারবে-খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা তা দেখতে পাই। কোন কিছুতে হতাশ হয়ে পিছু হটা যাবে না, চেষ্টা করতে হবে তাহলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।
এ ছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, “এখন থেকে পুরো বছর জুড়েই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ধারাবাহিভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন খেলাধুলার জন্য বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন শরীরচর্চা শিক্ষাকেন্দ্রের উপ-পরিচালক গৌতম কুমার দাস। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা এবং পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুকসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী উপভোগ করেন।
প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন রানার্স আপ দলের ইংরেজি বিভাগের কাউসার আলম। যৌথভাবে সর্বোচ্চ (পাঁচটি) গোলদাতার পুরস্কার লাভ করেন মার্কেটিং বিভাগের আল হোসেন ও রানার্স-আপ দলের ইংরেজি বিভাগের কাউসার আলম। এছাড়াও সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার লাভ করেন চ্যাম্পিয়ন দলের ফিন্যান্স বিভাগের ফয়সাল।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর শুরু হওয়া সপ্তম আন্তবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ৩৮টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউটসহ মোট ৪০টি দল অংশগ্রহণ করে।
এমএম