চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়ে মূল ফটকে এসে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা 'দিল্লি না ঢাকা', ‘চট্টগ্রামে জবাই করে, দিল্লিতে নৃত্য করে’, ‘তুমি কে? আমি কে? সাইফুল সাইফুল’, ‘ইসকন তুই জঙ্গি, আওয়ামী লীগের সঙ্গী’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও, রুখে দাও’, 'ইসকনের আগ্রাসন রুখে দাও, রুখে দাও', ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘উগ্রবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, ইসকনকে কবর দে’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানান। সেই সাথে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফের হত্যার প্রতিবাদ জানান ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, ‘ চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করেছে ইসকন। আমরা প্রশাসনের কাছে এই হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া অতিশীঘ্রই ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।'
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম বলেন, ‘ইসকন ভারতীয় আগ্রাসনবাদী একটি সংগঠন। এই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ করাই তাদের মূল কাজ। চট্টগ্রামে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে যারা জবাই করে হত্যা করেছে অনতিবিলম্বে তাদেরকে খোঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে।'
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বাংলাদেশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মুক্তির দাবিতে ইসকন সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলার এ ঘটনায় আহত ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিম্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে।
এমএম