ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে সংবাদ সম্মেলন

প্রশ্নের জেরে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হলেন ন্যাশনালের শিক্ষার্থী-ডাক্তারর

জবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রশ্নের জেরে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হলেন ন্যাশনালের শিক্ষার্থী-ডাক্তারর

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করার জেরে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছেন ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনিস্টিটিউট হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ডাক্তাররা।

ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলন ডাকে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এসময় সংবাদ সম্মেলনে সমকালের সাংবাদিক ইমরান হোসাইন বলেন, গতকাল নিউজের জন্য বক্তব্য নিতে চাইলে হাসপাতালের এক ডাক্তার হুমকি দেন। হুমকি দেয়া ওই ডাক্তারের নাম ইমরান। তিনি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে কর্মরত আছেন। একজন চিকিৎসক গণমাধ্যমকর্মীকে হুমকি দিতে পারেন কিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন রাখেন ওই সাংবাদিক। এছাড়া ন্যাশনাল হাপাতালের সঙ্গে মাহাবুবুর রহমান কলেজের সংঘর্ষে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ কিভাবে জড়িত হলো প্রশ্ন করেন যমুনা টিভির সাংবাদিক রাব্বি।  তবে তার প্রশ্নটিও এড়িয়ে যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরবর্তীতে সকল সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলন ত্যাগ করেন। এ ঘটনার পরেই সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হওয়া সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ডাক্তাররা।

এসময় সমকালের সাংবাদিক ইমরান হোসাইন বলেন, ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মহিমা আক্তার শেফাকে অব্যাহতি দেয়ার ঘটনায় আমি বক্তব্য জানতে ফোন দিই। পরে শেফার বক্তব্য দেয়া শেষ না করেই ফোন কেটে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর তার ভাই হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডাক্তার ইমরান আমাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি দেন। এই ঘটনাটি আজ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানায়। এরপর সব সাংবাদিক এর প্রতিবাদ জানিয়ে চলে আসার পর হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ডাক্তাররা আমাদের ওপর চড়াও হয়। তাদের ব্যবহার দেখে বিষ্মিত।

সংবাদ সম্মেলনে থাকা খবরের কাগজের সাংবাদিক মুজাহিদ বিল্লাহ বলেন, সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে এই ধরণের ব্যবহার কাম্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নই যদি না নিতে পারে তাহলে সাংবাদিকদের আসার অনুরোধ কেন জানানো হলো।

এবিষয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনিস্টিটিউটের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যারা জড়িত তাদের আমরা শাসন করেছি। মেডিকেল শিক্ষার্থী হুট হাট কি করে, মাথা গরম ওদের। ওদের পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের সাংবাদিকের কাছে সরি।

রাজু

×