ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

হাবিপ্রবির বিদেশী শিক্ষার্থীদের সাথে ভিসির ওপেন ডিসকাশন

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

হাবিপ্রবির বিদেশী শিক্ষার্থীদের সাথে ভিসির ওপেন ডিসকাশন

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সেকশন এর আয়োজনে অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীদের সাথে ওপেন ডিসকাশন করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এনামউল্যা। অনুষ্ঠানে নেপাল, ভুটান, ভারত, সোমালিয়া, নাইজেরিয়াসহ ৫ টি দেশের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

 

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৪.৩০ টায় অডিটোরিয়াম-২ এ ওপেন ডিসকাশন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার। সভাপতিত্ব করেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সেকশন এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, ইন্টারন্যাশনাল হলের হল সুপার প্রফেসর ড. মো. আদনান আল বাচ্চুসহ বিভিন্ন হলের হল সুপার, প্রক্টর, বিভিন্ন শাখার পরিচালকবৃন্দ, সহকারী প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালকসহ অন্যান্য শিক্ষক—কর্মকর্তাবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন ইন্টারন্যাশনাল হলের সহকারী হল সুপার প্রফেসর ড. মারুফ আহমেদ। 

মতবিনিময় সভায় বিদেশী শিক্ষার্থীরা বর্তমান প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষার্থীদের জন্য হলের নানামুখী সেবামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে তাদের জন্য ভিসা সহজীকরণ, সতন্ত্র ফরেন স্টুডেন্ট হল, স্টাইপেন্ড, ডীনবৃত্তি, হলের ফি কমানো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, খেলাধুলার সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রথম এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা ভাইস—চ্যান্সেলর মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো ভাইস—চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, ভিসার জটিলতার বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত, তারপরও এই সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো, যেন দুই দেশের সরকার আলোচনা করে এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা উপস্থিত বিদেশী শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, তোমাদেরকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পেয়ে আমরা গর্বিত। তোমাদের শিক্ষা ও ব্যক্তিগত জীবন সুন্দর করতে যা যা করা প্রয়োজন, আমি তা করবো। আমি তোমাদের কিছু সমস্যার কথা শুনলাম, এসব বিষয়ে আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, দেশী শিক্ষার্থীরা ডীনবৃত্তি পায় কিন্তু তোমরা এটা পাওনা, এখন থেকে তোমরাও এই বৃত্তি পাবে। পাশাপাশি ছাত্র হলের (ইন্টারন্যাশনাল) সিট রেন্ট কমানোর বিষয়ে আমরা কাজ করবো। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদেরকে তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জব সেক্টরে অবদান রাখার যে সুযোগ রয়েছে তা গ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করেন। 

মতবিনিময় সভা শেষে রাতে ভাইস—চ্যান্সেলর ও প্রো ভাইস—চ্যান্সেলর ইন্টারন্যাশনাল হল পরিদর্শন করেন।

এমএম

×