অভিযোগকারি রাবি অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাহাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারই এক সহকর্মী আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. মোরশেদুল ইসলাম। আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক মো. মোরশেদুল ইসলাম বলেন, রাবির অধ্যাপক ড. মোঃ সাহাল উদ্দিন ২০১২ সালের আগস্টের ৮ তারিখ সহযোগী অধ্যাপক পদে পদায়নের জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনপত্রে উল্লেখ করা তিনটি প্রকাশনার মধ্যে একটি বাংলা প্রকাশনা রযেছে বলে উল্লেখ করেছেন এবং সহযোগী অধ্যাপক পদে পদায়নের যোগ্যতা পূরণ করেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, তার উল্লিখিত দুইটি প্রকাশনা যথাক্রমে 'The Unholy Delay of the Last Caretaker Government: Bangladesh is on the Verge of a Constitutional Crisis' এবং 'Conflict of Laws and it's Impact on Child Labour Issues: Bangladesh Perspective' প্রকৃতপক্ষে অন্য লেখকের এবং তা তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি সাহাল উদ্দিন অধ্যাপক পদে পদায়নের জন্য যে ছয়টি প্রকাশনা তার নিজের বলে দাবি করেছেন, সেগুলোর সবই অন্যের কাজ থেকে চুরি করে প্রকাশ করেছেন। এই সকল জালিয়াতির মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে পদায়ন পাওয়ার পরেও রাবি প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি বর্তমানে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগে কর্মরত আছেন। সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে প্রকাশনা জালিয়াতির মাধ্যমে পদায়ন লাভ করলেও এই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন স্বৈরাচারী প্রশাসনের খুব আস্থাভাজন ব্যাক্তি হিসেবে স্বৈরাচারী সরকারের সকল বিভাগের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সংক্রান্ত কিছু তথ্যাদি তিনি গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। তবে গণমাধ্যমের পক্ষে এগুলো যাচাই করা সম্ভব হয় নি।
অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার দপ্তরেও এই কাগজগুলো পাঠিয়েছি কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। আমি এই শিক্ষকের পদায়নের সুষ্ঠু তদন্ত চাই। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আমি হাইকোর্টে রিট করবো।
অভিযোগের বিষয়ে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন বলেন, 'এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। উনি এই বিভাগের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি। তাই আমার সম্মানহানির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব করছেন। আমি নিজেও এ বিষয়ে তদন্ত চাই।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব জানান, 'বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে আইনি পরামর্শ চেয়েছি। এরপরই সেটাকে সামনে রেখে আমরা পদক্ষেপ নিব৷'
রাজু