ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) ভর্তির সুযোগ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে দারিদ্র্যকে জয় করা মেধাবী মারিয়া খানম। এ যেন গরিবের জীর্ণ কুটিরে চাঁদের আলো।
মারিয়া তিন বেলা ঠিকমতো খেতে, প্রয়োজন মতো প্রাইভেট ও ভালো পোশাক পরতে না পারলেও অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও নিরলস অধ্যবসায় তার শিক্ষা জীবনে একের পর এক সাফল্যের পালক এনে দিচ্ছে।
ডুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরেও ভর্তি ফি, বইপুস্তক ক্রয়, আবাসন ও খাওয়ার খরচসহ লেখাপড়ার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলতা গ্রামের মৃত তাহের শরীফের ছোট মেয়ে মারিয়া খানম। মারিয়া সরকারি গৌরনদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ২০২৩ সালে কৃতিত্বের ধারাবাহিকতায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন।
পরবর্তীতে মারিয়া তার স্বপ্নের ডুয়েটে ২০২৩-২৪ সেশনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলেও স্বস্তি নেই তার মনে। ভর্তি ফি, বইপুস্তক ক্রয়, আবাসন ও খাওয়ার খরচসহ ব্যয়বহুল লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহন নিয়ে সে এখন চরম দুশ্চিতার মধ্যে পড়েছেন। অদম্য মেধাবী মারিয়া খানমের উচ্চশিক্ষা অর্জন নিয়ে তার বিধবা মা মাকছুদা বেগম, ভাই নাঈম শরীফ ও বোন মুনিয়া আক্তার বিথী চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। এ জন্য তারা সমাজের মহানুভব ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।