রাবি ছাত্রশিবিরর আয়োজনে ৫ শতাধিক নবীনের শিক্ষা সফর।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে শিক্ষা সফরের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবির। শনিবার সকাল সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ১০টি বাস নিয়ে নওগাঁর কুসুম্বা মসজিদ, পাহাড়পুর ও সোমপুর বিহারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তারা।
রাবি শাখা শিবিরের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এটি শুধু একটি সফর নয়, বরং একটি আদর্শ, দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রচেষ্টা। পূর্ববর্তী সরকার এ ধরনের আয়োজন অনুমোদন না দিলেও এখন শিক্ষার্থীরা আগ্রহ নিয়ে এতে অংশ নিচ্ছে। সফরের উদ্দেশ্য সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা এবং তাদের আদর্শিক ও সেবামূলক চরিত্র গঠন করা। শিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত এই শিক্ষা সফরের প্রশংসা করেছেন নবীন শিক্ষার্থীরা।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ভ্রমণে এসে ভালো লাগছে। একদিনে বেশ কয়েকটা জায়গা ঘুরতে পারছি। আয়োজনও খুবই গোছানো। এতজনকে সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে এই শৃঙ্খলাও দারুণ ব্যাপার।আরেক শিক্ষার্থী তারিক মনোয়ার বলেন, সবাই মিলে ঘোরাঘুরিতে বেশ ভালো লাগছে। বাস যাত্রা, খাবার সবই আমাদের মন মতো ছিল। এছাড়াও গেম খেলা, আঞ্চলিক ভাষায় বিতর্ক হয়েছে। সবমিলিয়ে একটা ফুল প্যাকেজ বলা যায়।
পিকনিকের বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আব্দুল মোহাইমিন বলেন,‘ আমরা অতি সম্প্রতি দুই দফায় নবীন বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছি এবং ভবিষ্যতে আরও আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। আজ আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ৫০০ জনের বেশি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ১০টি বাসে একটি শিক্ষা সফরের আয়োজন করতে পেরেছি। এই শিক্ষা সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাদের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক আন্তরিকতা ও সম্পর্ক উন্নত করা এবং তাদের একটি আদর্শিক, দেশপ্রেমিক ও সেবামূলক চরিত্র গঠনে উদ্বুদ্ধ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই এই সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞানার্জনের পরিধি বৃদ্ধি করবে, ঐতিহাসিক ও সামাজিক বিষয় সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করবে এবং নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে সমাজ ও জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।'
তাবিব