সুলতানা রাজিয়া হলের সামনে আন্দোলনরত ছাত্রীরা
আবাসন সমস্যার সমাধানের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সুলতানা রাজিয়া হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীরা হলের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শিক্ষার্থীরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। দ্বিতীয় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি, 'প্রত্যেককে শতভাগ সিঙ্গেল সিট নিশ্চিতকরণ করতে হবে'। এসময় শিক্ষার্থীরা 'টু-টু পার করেছি, ডাবলিং পার করিনাই' এবং 'হৈ হৈ রৈ রৈ, প্রশাসন গেলো কই' স্লোগান দিতে থাকে।
এ বিষয়ে এক লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, 'সুলতানা রাজিয়া হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীদের সম্মিলিত দাবি, প্রত্যেককে শতভাগ সিঙ্গেল সিট নিশ্চিতকরণ করতে হবে। সিট খালি স্বাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষের প্রত্যেক ছাত্রীর সিট নিশ্চায়ন না হওয়া পর্যন্ত হলের মেইন ব্লক এবং ই ব্লকে নতুন কোনো ছাত্রী উঠানো যাবে না।'
এসময় উপস্থিত সুলতানা রাজিয়া হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীরা আরো জানায়, 'দুই বছর যাবত দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা দুইজন করে একটি বেডে শেয়ারিং করে থাকছে। এ সমস্যা নিয়ে বারবার হল প্রশাসনের কাছে যাওয়ার পরও তারা আমাদের আবাসন সমস্যার সমাধান করতে পারেনি।
এমতাবস্থায় ২১ নভেম্বর রাত থেকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে হল প্রশাসনের সাথে কথা বলতে চায়। হল প্রশাসন ও প্রক্টর এসে শিক্ষার্থীদের দাবি শুণে। তারা আমাদের দাবিকে যৌক্তিক বললেও লিখিত স্টেটমেন্টে স্বাক্ষর করতে রাজি হয়নি। প্রশাসনের লিখিত স্টেটমেন্ট না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা এখনো হলের বাইরে অবস্থান করছে'।
এসময় সুলতানা রাজিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন বলেন, হলে তিনস্তরে সিট দেয়া হয়। একটি হলো গণরুম, তারপর এক সিটে দুইজন এবং সর্বশেষ প্রতিজনকে একটি করে সিট বরাদ্দ দেয়া হয়। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের মেয়েরা সিঙ্গেল সিটের জন্য আন্দোলন করছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি আন্দোলন। বর্তমানে তারা ৭৬ জন রয়েছে, সিঙ্গেল সিট বরাদ্দ দিতে গেলে অতিরিক্ত ৩৮ টি সিটের প্রয়োজন কিন্তু হলে কোনো সিট খালি নেই।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলনকারীদের সাথে কথা হয়েছে, হয়তো আগামীকাল এক নোটিশ জারির মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করা হবে সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে।
শহিদ