বিক্ষোভ সমাবেশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জুলাইয়ে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার মদতদাতা হিসেবে অভিযুক্ত সাবেক প্রক্টর ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আলমগীর কবীর ক্যাম্পাসে ফিরেছেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আলমগীর কবীরের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘আওয়ামীলীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ফিরোজের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘মেহেদি ইকবালের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী শোয়াইব হাসানের সঞ্চালনায় অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ জুবায়ের শাবাব বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মদদদাতা কোনো শিক্ষক যদি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর হব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উদ্দেশ্য হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই যদি হামলার মদতদাতাদের পুনর্বাসিত করতে চান শিক্ষার্থীরা আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা যদি কোনো ধরনের মব জাস্টিসের শিকার হয় এর দায়ভার শিক্ষার্থীরা নিবেনা। আমাদের দাবিকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নাই। প্রয়োজনে হামলার মদদদাতা শিক্ষকদের জুতার মালা গলায় পড়িয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করব।
৪৭ ব্যাচের তুলনামূলক সাহিত্য সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আবদুর রশিদ জিতু বলেন, শিক্ষার্থীরা এখনো জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি ভুলে যায়নি। আমাদের জুলাই বিপ্লবের সহযোদ্ধা শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিকরা এখনো বিপ্লবের ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এখনো এসব হামলার বিচার না করে হামলাকারী ও হামলায় মদদদাতা শিক্ষকদের পুনর্বাসন করছে।
আমরা প্রশাসনকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, যারা জুলাই আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িত ছিলো তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত দ্রুত শেষ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো এক অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
উল্লেখ্য ১৫ জুলাই হামলার মদদ দেয়ার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ তম বিভাগের এক শিক্ষার্থী।
শহিদ