কাজল
ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. কাজল মিঞাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ৫ অগাস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন কাজল। পরে তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে (নিনস) নেওয়া হয়। এতদিন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নিনসের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির হিমু বলেন, কাজলের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এইচডিইউতে তিন মাসের চিকিৎসায় ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হলেও বাঁ হাত ও পা পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। “তার রোবটিক ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন। কিন্তু দেশে সে ব্যবস্থা নাই। সেজন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
ডা. হিমু বলেন, দুদিন আগে কাজলের শরীর হঠাৎ খারাপ হতে থাকে। বিষয়টি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগমকে জানালে তিনি কাজলকে দ্রুত থাইল্যান্ডে পাঠানোর উদ্যোগ নেন।
“তাকে থাইল্যান্ডের বেজথানি হাসপাতালে নেওয়া হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে থাই দূতাবাসে যোগাযোগ করে ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসবে, ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত ১২টায় কাজলকে ব্যাংককে নেওয়া হবে। কাজলের সঙ্গে তার স্ত্রী সিনথিয়া ব্যাংককে যাবেন বলে জানিয়েছেন ডা. হুমায়ুন কবির হিমু।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “আমাদের প্রধান কাজ হল আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তাদের সুচিকিৎসার জন্য চীন, নেপাল, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও থাইল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছে। নেপাল ৫০ জনের চোখের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করে দেবে।
শহিদ