প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
ঢাকা সিটি কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ‘অবৈধভাবে’ নিজেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেওয়ার অভিযোগে অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক ও ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ১৮ দিন ধরে। কবে কলেজ খুলবে তারও কোন তথ্য নেই।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আগের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বেদার উদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগ করিয়ে অধবৈধভাবে পদ দখল করেন অধ্যাপক নেয়ামুল হক। তিনিই উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন মোখলেছুর রহমানকে। আন্দোলনের কারণে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। তবে নেয়ামুল হক এখনও পদত্যাগ করেনি।
অক্টোবরের ২৮ তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ মোট ৭ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের অভিযোগ করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেয়ামুল হক ও উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান নানান স্বেচ্ছাচারিতার পাশাপাশি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের যৌক্তিক সমাধান চেয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ৪ নভেম্বর ঢাকা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। নোটিশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানানো হয়।
আর কে