কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে লোকপ্রশাসন বিভাগ কর্তৃক ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া 'হামলার' বিচারের দাবি জানিয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টার মাধ্যমে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ পত্রটি জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, 'ফার্মেসি বিভাগের শিডিউল অনুযায়ী আজ খেলা থাকায় কেন্দ্রিয় ফুটবল মাঠের পাশে প্রাকটিস চলছিল। এ সময় লোকপ্রশাসন বনাম একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন স্টাডিস বিভাগের খেলা চলছিল। এমতাবস্থায় একটি বল মাঠের বাহিরে এলে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত (১৭তম আবর্তন) বলটিকে মাঠে ফেরত দেয়। তখন লোকপ্রশাসন বিভাগের মাহফুজ (১৫ তম আবর্তন), মাহবুবুর রহমান শুভ (১৬ তম আবর্তন), মাহিনুল ইসলাম (১৭ তম আবর্তন), লিওন (১৭ তম আবর্তন) সহ বাকি খেলোয়াড় এবং উক্ত বিভাগের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী তার ওপর তেড়ে আসে এবং মারতে উদ্ধত হয়। সেসময় ফার্মেসি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ইয়াসিনকে বাঁচাতে আসলে তাদের ওপরও খেলোয়াড়সহ শিক্ষার্থীরা চড়াও হয়। অভিযোগ পত্রে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে লোকপ্রশাসন বিভাগকে শাস্তির আওতায় এনে চলমান ফুটবল টুর্নামেন্ট ও আগামী এক আসর থেকে বাতিল এবং জড়িত শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ছয় মাসের বহিষ্কারের দাবি জানায় ফার্মেসি বিভাগ।
এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা মো: কামরুল হাসান বলেন, ' বিশ্ববিদ্যালয়ের এই খেলাধুলাগুলো আসলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি সৌহার্দ বৃদ্ধির জন্য আয়োজন করা হয়। তবে আজকের ঘটনাটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মাঠের বাইরের একটা বল আমাদের বিভাগের একজন খেলোয়াড় মাঠে পাঠায় এবং এটায় আসলে করা হয়। খেলা চলাকালীন সময় বল মাঠের বাইরে আসলে সেটা আশেপাশে যারা থাকে মাঠে ফেরত দেয়। কিন্তু এটার কারণে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আমাদের খেলোয়াড়ের ওপর চড়াও হয়। এটা আসলে কাম্য নয়। যেহেতু এটা একটা শৃঙ্খলার বিষয় সুতরাং সেটা মাথায় রেখেই প্রক্টর বরাবর অভিযোগ পত্রটি দেওয়া হয়। এখন প্রক্টরিয়াল বডি এবং খেলা পরিচালনা কমিটি মিলে যেটা সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই।'
ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, 'টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময় এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এমন ঘটনা আসলে কাম্য না। যেহেতু প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সুতরাং প্রক্টরিয়াল বডি এটা তদন্ত করে দেখে প্রক্টরিয়াল বডি এবং প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই হবে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, 'আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডি আলোচনা করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে।'
এছাড়া, উক্ত ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন লোকপ্রশাসন বিভাগের মেহবাহুল তাহের (১৪ তম আবর্তন) এবং রাশেদুল ইসলাম শুভসহ (১৬ তম আবর্তন) কয়েকজন।
তাবিব