জাতীয় ও ক্যাম্পাস ভিত্তিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় 'গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন' ব্যানারে শহীদ মিনারের পাদদেশ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে সড়ক দিয়ে বটতলা এলাকায় শেষ হয়।
মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীদের 'সারাদেশে নিরাপত্তা, নিশ্চিত কর করতে হবে', 'খুন নৈরাজ্যের ঠিকানা, স্বাধীন দেশে হবে না', 'আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ', 'শ্রমিক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, ২৪ এর বাংলাদেশ' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ৪৮ ব্যাচের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব হাসানের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় ৪৯ ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার বলেন, `আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিটি স্থানে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে আসবে। কিন্তু আমরা আশাহত হয়েছি। হাসিনার নিয়োগ দেওয়া পুলিশ ঠিকঠাক কাজ করছে না। ক্যাম্পাসগুলোতে নারীরা নিরাপত্তা পাচ্ছে না। অতিসত্বর সরকারকে এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।'
৫০ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, 'দিল্লিতে বসে স্বৈরাচারী হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে। দ্রুত সরকারকে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। পুলিশকে গতিশীল করতে হবে।'
৪৯ ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, 'এই গণঅভ্যুত্থান রিকশাওয়ালা, শিক্ষার্থী , আলেমসহ সকল সাধারণ জনগণের। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। ক্যাম্পাসে নারীরা লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে। অথচ এটি হওয়া উচিত ছিল সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। প্রশাসনকে দ্রুত এসব বিষয়ে জোর পদক্ষেপ নিতে হবে।'
সমাপনী বক্তব্যে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, দেশের প্রতিটি স্থানে নিরাপত্তা যেভাবে ভেঙে পড়েছে তাতে আমরা শঙ্কিত। আমরা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসনকে সক্রিয় হতে হবে। বিভিন্ন স্থানে খুন, চাঁদাবাজি ও ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সমাধানে দ্রুত প্রদক্ষেপ নোট হবে।
নাহিদা