ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

উপদেষ্টা নাহিদের বিরুদ্ধে নয় বরং স্লোগান ছিল ঠিকাদারের বিরুদ্ধে

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

উপদেষ্টা নাহিদের বিরুদ্ধে নয় বরং স্লোগান ছিল ঠিকাদারের বিরুদ্ধে

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আন্দোলনের মুখপাত্রদের সংবাদ সম্মেলন।

"সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার "স্লোগানটি মূলত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। এটি কোনভাবেই উপদেষ্টা নাহিদ কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠক রাকিব হাসান।


বুধবার (১৩ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।


সংবাদ সম্মেলনে রাকিব হাসান বলেন "স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিগত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। প্রকল্পের মেয়েদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি বরং তারা নিজেদের পকেট ভারি সহ রীতিমতো পুকুর চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। যা কোনভাবেই উপদেষ্টা নাহিদকে কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি।"
তিনি বলেন, "দুঃখের বিষয় হল সাবেক স্বৈরাচার সরকারের পেতাত্মারা এটা নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই আপনারা ঐক্যর ফাটল ধরাতে পারবেন না আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।"
এসময় আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ফেসবুকের কিছু পেজে বিষয়টি ভুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে। মুলত স্বৈরাচারী কিছু দালালরাই এটিকে ভুল ভাবে ব্যখ্যা করছে। 


এর আগে গত সোমবার সচিবালয়ের সামনে আবাসন সংকট সমাধানের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৫ দাবিতে আন্দোলন করে। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষা উপদেষ্টা নাহিদ এর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে এবং এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা দেখা যায়। পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন তারা নাহিদকে নয় বরং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপদেষ্টা নাহিদকে সমর্থন করে হ্যাশ ট্যাগে শিক্ষার্থীদের উই আর নাহিদ পোস্ট দিতে দেখা যাচ্ছে।

ইসরাত

×