আল্লামা ইকবাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আল্লামা ইকবালের জন্মদিন পালিত হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) এই অনুষ্টানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ থেকে অনেক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সেমিনারে ইকবাল বিশেষজ্ঞরা হযরত আল্লামা ইকবালের ধর্মীয়, দার্শনিক ও জাতীয় চিন্তাধারা সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করে বলেন, ইকবাল শুধু পাকিস্তান বা ভারতের কবি নন, আল্লামা ইকবাল বাংলার মুসলমানদের কাছেও সমাদৃত।
১৯৩৬ সালে আল্লামা ইকবালকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্যের সর্বোচ্চ ডিগ্রি প্রদান করে। ইকবাল মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও মানবিক সহানুভূতির বার্তা দিয়েছেন।
আধুনিক উর্দু ও ফারসি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে খ্যাতির পাশাপাশি আল্লামা মুহাম্মদ ইকবালের পরিচিতি উপমহাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিক হিসেবে। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের স্বাত্যন্ত্র ধরে রাখা ও বিকশিত করার তাগিদে তাদের নিজস্ব স্বাধীন আবাসভূমি পাকিস্তান গঠনের তাত্ত্বিক পুরুষ হিসেবে তিনি সুপরিচিতি। তবে এর চেয়েও বেশি জোরালো হলো দার্শনিক হিসেবে তাঁর সুনাম। আর তাঁর দর্শনচিন্তায় ইসলাম প্রবলভাবে উপস্থিত। ইসলাম তাঁর কাছে ছিল গতিশীল এক জীবনদর্শন। সেই উপলব্ধির ফসল রিকনস্ট্রাকশন অব রিলিজিয়াস থটস ইন ইসলাম (ইসলামে ধর্মীয় চিন্তার পুনর্গঠন)।
মূলত ১৯২৮ সালে অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ, হায়দারবাদ, আলিগড়সহ কয়েকটি স্থানে তিনি বিশ্বদর্শন ও ইসলাম বিষয়ে সাতটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেগুলো ছিল ইংরেজিতে। সে বক্তৃতাগুলো সংকলিত হয়ে ১৯৩০ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এর চার বছর পর অক্সফোর্ড থেকে বইটির আরেকটি সংস্করণ প্রকাশিত হয় যেখানে ‘ধর্ম কি সম্ভব?’ নামে আরেকটি নিবন্ধ যুক্ত হয়।
এসইউ