ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বাদ দেওয়া হচ্ছে নাতি-নাতনিদের। এই কোটায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বিবেচনা করা হবে। নির্ধারিত ৫ শতাংশ কোটায় আসন পূরণ না হলে মূল মেধা তালিকার ক্রমানুযায়ী শূন্য আসন পূরণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ৬ ধরনের কোটায় ভর্তি হতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এবার কোটা আন্দোলনে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা কোটা নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়। সে অনুযায়ী, উপাচার্যের অনুমোদন ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ওয়ার্ড কোটা ও খেলোয়াড় কোটা সংশোধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিনকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে সে কমিটির সভায় সব ধরনের কোটা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধু সন্তানদের রাখার সুপারিশ করা হয়।
ঢাবিতে বর্তমানে প্রচলিত কোটাগুলো হলো- ওয়ার্ড বা পোষ্য কোটা, উপজাতি বা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায় কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং খেলোয়াড় কোটা। এছাড়া হিজড়া সম্প্রদায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বিশেষ বিবেচনা প্রাপ্য হন।
এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সবচেয়ে বেশি ৫ শতাংশ, পোষ্য এবং খেলোয়াড় কোটায় নির্দিষ্ট নেই। বাকিগুলোতে ১ শতাংশ কোটা রয়েছে। যারা শুধুমাত্র পাশ করলেই ভর্তির সুযোগ পান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কেটা ও খোলায়াড় কোটা বাতিলের জন্য আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের ‘সন্তানদের’ জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে বলা হয়।
এসআর