ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি 

ভারত-আরাকানদের স্বার্থ রক্ষা করতেই সেন্টমার্টিন ভ্রমনে বাধা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ১ নভেম্বর ২০২৪

ভারত-আরাকানদের স্বার্থ রক্ষা করতেই সেন্টমার্টিন ভ্রমনে বাধা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি)  শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি।

পরিবেশ রক্ষার নামে ভারত ও মগ-আরাকানদের স্বার্থ রক্ষা করতেই সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে সরকার বাধা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি)  শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি। শুক্রবার বিকেলে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে একথা বলেন সংগঠনের নেতারা। সমাবেশে ঢাবির কয়েকশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

সমাবেশে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশের কাছে নারিকেল দ্বীপের গুরুত্ব অত্যধিক। পরিবেশ রক্ষার নামে নারিকেল দ্বীপ ভ্রমণে সরকারি বাধা একদিকে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ভারতীয় পর্যটনকে লাভবান করবে, অন্যদিকে নারিকেল জিজিয়া জনশূণ্য হয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের মগ-আরাকান দস্যুদের বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হবে। তাই নারিকেল দ্বীপে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ নারিকেল দ্বীপ তথা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকী হয়ে দাঁড়াবে।


স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির সদস্য সচিব মুহম্মদ মিনহাজ তৌকি বলেন, নারিকেল দ্বীপের দশ থেকে বারো বাসিন্দাদের প্রায় সবারই উপার্জনের একমাত্র উৎস পর্যটন। তাই ওখানকার পর্যটন শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই দ্বীপটি জনশূন্য হয়ে যাবে। ফলে একসময় পার্শ্ববর্তী মগ ও রাখাইনরা নারিকেল দ্বীপে এসে বসবাস শুরু করবে। তখন নারিকেল দ্বীপ হয়ে যাবে আরেক পার্বত্য চট্টগ্রাম। 

স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ শাকিল মিয়া বলেন, এরপূর্বেও মিয়ানমার সরকারের কয়েকটি ওয়েবসাইটে নারিকেল দ্বীপকে (সেন্ট মার্টিন) তাদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছিলো। তার মানে এই দ্বীপের প্রতি মিয়ানমারের একটা কুনজর রয়েছে। এছাড়া আরো কিছু সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির খায়েশ রয়েছে নারিকেল দ্বীপের প্রতি। সুযোগ পেলেই তারা তাদের খায়েশ মেটাবার চেষ্টা চালাবে। কাজেই নারিকেল দ্বীপে বাংলাদেশী নাগরিকদের যাতায়াত ও অবস্থানে যে কোনো বিধি নিষেধ আরোপ দ্বীপটিকে তার অস্তিত্ব ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে, যার মূল্য কথিত পরিবেশবাদের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশী।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাবি শিক্ষার্থী মুহিউদ্দীন রাহাত বলেন, দ্বীপের প্রায় শতভাগ মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র উপায় শীতকালের ৪ মাসের ভ্রমণশিল্প। সরকার পরিবশে রক্ষার নামে সেই চার মাসেই ভ্রমণের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে যেটা দ্বীপবাসীর প্রতি সরকারের অমানবিক সিদ্ধান্ত ও মৌলিক অধিকার হরণ। তাই, সব দিক বিবেচনায় আমরা নারিকেল দ্বীপের উপর আরোপিত সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার দাবী জানাচ্ছি। অর্থাৎ সর্বপ্রকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।

রিয়াদ

×