
মানববন্ধন
বাংলাদেশ জীব প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বৈষম্য এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি)-তে মহাপরিচালক নিয়োগে জটিলতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহেদুর রহমান ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু সেখানেও তার নিয়োগ নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশের বায়োটিকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল শিক্ষার্থী-শিক্ষক-গবেষকদের অগ্রগতির জন্য বাধা সৃষ্টি করছে।
মানববন্ধনে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৯৫ সালে বায়োটেকনোলজি সেক্টরটি বাংলাদেশের শুরু হলেও শিক্ষাখাতে এখনো আমরা গুরুত্ব পাচ্ছিনা। আমরা অনেক বেশি অবহেলিত রয়েছি। আমরা দেখেছি ১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকনোলজি যাত্রা শুরু করলেও দীর্ঘ ২৫ বছরে বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এখানে আমরা স্পষ্ট একটি বৈষম্য দেখতে পাচ্ছি। এখানে ৬০% এর বেশি নন-বায়োটেকনোলজি গ্রাজুয়েটরা কাজ করছেন। বড় অংশে বায়োটেকনোলজি বিভাগের কেউ সেখানে কাজ করার সুযোগ পান না।
বায়োটেনোলজি ও জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, দেশের কেন্দ্রীয় জীবপ্রযুক্তি সংস্থা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োটেকনোলজিতে প্রয়োজন বায়োটেকনোলজি থেকে পড়াশোনা করে আসা গবেষণার অভিজ্ঞ একজন ব্যক্ত। অধ্যাপক শাহেদুর রহমান ঐ পদের জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পরও এখনো এনআইবিতে যুক্ত করতে পারেননি। বাংলাদেশে জীবপ্রযুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। আজকে সারাদেশে শিক্ষকদের মানববন্ধনই প্রমাণ করে তিনি এ পদের জন্য কতটুকু যোগ্যতা। আমাদের দাবি অধ্যাপক শাহেদুর রহমানকে দ্রুত তার নিজ পদে নিয়োগ দেওয়া
ইসরাত