সৈকত রায়হান এবং আলফি শাহরিন আরিয়ানা
নিজ বিভাগে পরীক্ষা দিতে এসে কারাগারে গেলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই ছাত্রলীগ নেতা। শুক্রবার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর মতিহার থানার ওসি মো. আব্দুল মালেক।
গ্রেফতার হওয়া এই দুই ছাত্রলীগ নেতার একজন হলেন, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বেগম রোকেয়া হলের সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরিন আরিয়ানা এবং অপরজন আইবিএর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈকত রায়হান। এদের মধ্যে সৈকত রায়হান আগে থেকেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। আর নতুন মামলা দায়ের করে আলফি শাহরিন আরিয়ানাকে আসামী করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার তারা রাবিতে পরীক্ষা দিতে এলে বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে প্রক্টর দফতরের মাধ্যমে রাতে মতিহার থানা পুলিশের হাতে তাদের সোপর্দ করা হয়। রাতে পুলিশ হেফাজতে রাখার পর শুক্রবার তাদের কোর্টে চালান করা হয়েছে।
রাবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সৈকত রায়হান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আর আলফি শারিন আরিয়ানা আন্দোলনরত নারী শিক্ষার্থীদের তালিকা করে শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষনেতাদের কাছ পাঠাতেন এবং হুমকি দিতেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘পুলিশ গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুজনকে নিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে বলে জেনেছি।
মতিহার থানার ওসি মো. আব্দুল মালেক বলেন, তাদের মধ্যে সৈকত রায়হান ৮ অক্টোবর রাবি শাখা ছাত্রদলের এক নেতার দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আর অপরজনের নামেও নতুন মামলা হয়েছে। শুক্রবার পৃথক মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রিয়াদ
