মশাল মিছিল
নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক হামলার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত পৌনে নয়টায় মহুয়া মঞ্চ থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে তা শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রদক্ষিণ করে বটলায় এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
হামলার শিকার কাউসার আলম আরমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমনের সঞ্চালনায় বক্তারা ছাত্রলীগের কর্তৃক হামলার প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি ছাত্রলীগকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
সমাবেশে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল হাই স্বপন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের দুই মাস পেরিয়ে গেছে, এরপরেও আওয়ামী-ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা। ফলশ্রুতিতে আজ আমাদের একজন সহযোদ্ধার উপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার না করা হয়, তাহলে আমরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করবো।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আরমান আন্দোলন চলাকালে নির্যাতিত হয়েছে। আন্দোলন সফল হওয়ার পরে সে আবারও ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আরমান ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম ঘটনা বারবার ঘটছে। গণঅভ্যুত্থানের পর অনেক খুনের নির্দেশদাতারা ক্যান্টনমেন্টে পালিয়ে আছে। বিভিন্ন জায়গায় তাদের পুনর্বাসন হচ্ছে। অথচ আমাদের ভাইয়েরা এখনও নির্যাতিত হচ্ছে। স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানিয়ে দিচ্ছি আপনারা এসবের বিচার না করলে তা প্রতারণার শামিল। অবিলম্বে আরমানের উপর হামলাকারীদের বিচার করতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, আমরা ছাত্রজনতা একত্রিত হয়ে দেশ থেকে আওয়ামীলীগকে হটিয়েছি। কিন্তু আজ আমরা আমাদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্যাসিবাদের দোসররা বুল ফুলিয়ে হাটছে। এসকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
শহিদ
