ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাওয়ের হুমকি

সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল

জাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ০২:১৫, ১০ অক্টোবর ২০২৪

সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল

ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাওয়ের হুমকি

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরকি হত্যা বন্ধ ও নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানিয়ে মশাল মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে সেটি শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শুরুর স্থানেই শেষ হয়। এসময় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘সীমান্তে হত্যা কেন, জবাব চাই দিতে হবে’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দিবে জনগণ’, ‘সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, রুখে দিবে জনগণ’, ‘নদীর পানি ট্রানজিট গ্যাস, জবাব দিবে বাংলাদেশ’, ‘ভারতীয় প্রকল্প, চলবেনা চলবেনা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধ ছাড়া আর কোথাও এতো মানুষ সীমান্তে হত্যার শিকার হয়নি। আমরা স্বাধীনতার পর থেকেই প্রতিবাদ করে আসছি। যুগে যুগে এদেশে শাসক পাল্টেছে কিন্তু ভারতীয় শোষণ ও আধিপত্য পাল্টেনি। এই আগ্রাসন বন্ধে সরকার উদ্যোগ না নিলে ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করবো।’

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত উল্লাহ বলেন, ‘ভারত সবসময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার দেখায়। কিন্তু পরক্ষণেই আমরা দেখি দুইজনকে সীমান্তে হত্যা করেছে যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এর দ্বারা বুঝা যায় ভারত শুধু রাজনৈতিক স্বার্থে সংখ্যালঘুদের অধিকারের কথা বলে। আদতে তারা এদেশের সংখ্যালঘুদের সাথে নাই। এমনকি তারা তাদের দেশের সংখ্যালঘুদের সাথেও নাই। তারা শুধু দিল্লির স্বার্থেই এদেশের সংখ্যালঘুদের ব্যাবহার করে।

সমাপনী বক্তব্যে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, ‘১৯৭১ সালের পরবর্তী সময় থেকে ভারতকে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে আসছি। কিন্তু তারা এর বিনিময়ে সীমান্তে লাশ, বন্যা ও খরা উপহার দিয়েছে। ভারত সরকারকে বলতে চাই, আপনারা আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করছেন। সীমান্তে যদি আর একবার গুলি চলে আমরা বসে থাকব না। নদীর পানির নায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিন। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালাবেন না। আমরা যে আপনাদের বন্ধু মনে করছি, সে বন্ধুত্বের পরিচয় দিন।

×