ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

জবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভা

ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ৭ অক্টোবর ২০২৪

ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আবরার ফাহাদের পঞ্চম তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী ও দেশদ্রোহী আক্ষা দিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধের দাবি জানায়। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আবরার ফাহাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছে বাক স্বাধীনতাকামী শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই হক আদায়ের জন্য হলেও ছাত্রলীগের বিচার করতে হবে। ছাত্রলীগের অমানবিক নির্যাতনে আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে। এই খুনীদের বিচার করতে হবে। তাদেরকে ছাত্র সমাজ বয়কট করেছে। 

ক্যম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকারের বর্ননা দিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী  ইব্রাহিম আলী বলেন, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ত্রাশের রাজনীতি করেছে। শিক্ষার্থীদের মুখ চেপে ধরেছে। বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে শিবির ট্যাগ দেয়া হয়েছে। কোন প্রকার প্রমান ছাড়াই জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ববাতিল করেছে। এসকল অবৈধ ফ্যাসিস্টদের জবাব দিতে হবে।

ক্যম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ বলেন, আবরার ফাহাদ ভাই আমাদের গর্ব। দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ত রক্ষায় আবরার ফাহাদ প্রথম শহীদ। দেশের ভালোর জন্য কথা বলায় ছাত্রলীগের গুন্ডারা আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। কতটা অমানবিক হলে একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে তা ভাবতেও ভয় লাগে। বাংলাদেশে এই ছাত্রলীগ নামে গুন্ডালীগকে কোন প্রকার রাজনীতি করতে দেয়া যাবে না। প্রতিটা ক্যম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার হামিম বলেন, একটা সময় ছিলো শিক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্কজনক। ছাত্রলীগের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সব সময় মারধরের শিকার হয়েছে। ছাত্রলীগের পাশাপাশি জগন্নাথে কাজ করতো শিক্ষকলীগ। আমার ফেসবুক একটিভিটির কারণে ছাত্রলীগ সব সময় লেগে থাকতো। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও জড়িত ছিল। আমাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করেছে ডিবি দিয়ে। অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদেরকে সব সময় হয়রানি করেছে। নূর নবীকে ক্যাম্পাস থেকে প্রশাসন ডিবির হাতে তুলে দেয়। এই বিচার করতে হবে। 

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান ইমন বলেন, স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে কথা বলায় ছাত্রলীগের দালালরা বাসে আটকে আমাকে অমানবিক নির্যাতন করেছে। এই সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফোন মানিব্যাগ ছিনিয়ে দেয়। ন্যায় কথা বললেই তারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। 

স্মরন সভায় ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌসিফ মাহমুদ সোহানের তত্বাবধানে সঞ্চালনা করেন রাকিব হাসান। এসময় আরো বক্তৃতা রাখেন ছাত্র দলের সহ সাংগাঠনিক সম্পাদক মাহিদ খান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান বিন অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল ও ইভান তাহসিব প্রমুখ

 

ফুয়াদ

×