হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সনদপত্র প্রদানের কাগজ শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং যথাসময়ে কাগজের সরবরাহ না আসায় শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান করতে পারছেনা হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। ফলে সনদপত্র নিতে আসা শিক্ষার্থীদের ফিরতে হচ্ছে খালি হাতেই।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সনদ উত্তোলন সহজীকরণের লক্ষ্যে ২০২৩ সালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে শিক্ষার্থীরা সাময়িক সনদপত্র, না দাবি, ক্লিয়ারেন্স, সনদ উত্তোলনের জন্য নিজ দায়িত্বে ক্লিয়ারেন্সের স্বাক্ষর সংগ্রহ করার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পায়। তবে বর্তমানে সনদপত্র প্রদানের কাগজের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সনদপত্র প্রদান বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছে সনদ উত্তোলন করতে আসা শিক্ষার্থীরা।
ইংরেজি ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, "আমি ১৮ সেপ্টেম্বর সার্টিফিকেট তুলতে আবেদন করি এবং ১০ দিন পর ২৯ সেপ্টেম্বর সার্টিফিকেট তুলতে গিয়ে দেখি আমার সার্টিফিকেট এখনো প্রিন্ট হয় নাই। পরে খোঁজ নিয়ে দেখতে পেলাম আমার আবেদন ১১ দিন পরও ফাইলের মধ্যেই আছে, সেটার কোনো অগ্রগতি নাই। তাদের প্রিন্টের কাগজ শেষ হয়েছে, সেটা তারা শেষ সময়ে জানাবে?"
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করলে অফিস সূত্রে জানা যায়, সনদের কাগজপত্র যে বিজি প্রেস থেকে নিয়ে আসা হয় সেখানে কিছু পদে রদবদল হওয়ার কারণে এবং তাদের নিজস্ব কিছু জটিলতার কারণে সময়মতো সার্টিফিকেট এর কাগজ সরবরাহ করতে পারেনি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকদিন উপাচার্যবিহীন থাকায় আর্থিক বিষয়গুলো ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। যেহেতু কাগজ ছাপতে একটি বিল পাস এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক না থাকায় এ পদ্ধতিতে বিলম্ব হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর হাসান ফুয়াদ এল তাজ নতুনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণের পরই দ্রুতগতিতে এর কাজ শুরু হয়। এবং আগামী সপ্তাহেই এই কাগজ আসবে বলে বিজি প্রেস থেকে নিশ্চিত করা হয়।
সনদপত্র প্রদান বন্ধ থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, "আমি দায়িত্ব নেয়ার পরই জানতে পারি কাগজ শেষের দিকে। তারপরই আমি বিজি প্রেসে অর্ডার করি যেনো কাগজের অভাবে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। গত বৃহস্পতিবারই আমাদেরকে কাগজ ডেলিভারি দেয়ার কথা ছিলো।
তবে আমাদের সার্টিফিকেট এর একপাশ প্রিন্ট করার পর অপর পাশ প্রিন্ট করার আগেই বিজি প্রেস এর যে প্রিন্টিং মেশিন তা নষ্ট হয়ে যায়। এর কারণে এক সপ্তাহ পিছিয়ে পরের বৃহস্পতিবার কাগজ সরবরাহ করার কথা বলা হয়। কাগজ ছাপানো হলেই আমরা লোক পাঠিয়ে দ্রুত তা নিয়ে আসবো। কাগজ হাতে পাওয়ার পরে পুনরায় সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারবো। আমাদের কাছে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।"
শহিদ