শেহরীন আমিন মোনামি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিক কাইয়ুম। সে কারণে গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন-পরবর্তী সময়ে সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে ছিল তার ঘনিষ্ঠতা। পদচারণা ছিল সর্বত্র।
আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবেই সবাই তাকে সমাদর করতেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে নিজেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি পরিচয় দেন। এরপরই নেট দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন সাদিক কাইয়ুম।
এরপর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে শিবিরের বিভিন্ন নেতাকর্মীর পরিচয়। আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
এদিকে প্রকাশিত এই কমিটির কয়েকজনের অভূতপূর্ব একাডেমিক সাফল্য ও ফলাফল অর্জনের কথা জানা গেছে। যেখানে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মহিউদ্দিন খান। যার একাডেমিক রেজাল্ট ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। শিবিরের এই নেতাকে নিয়ে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হাত থেকে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক শেহরীন আমিন মোনামিও।
তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র মুহি (মহিউদ্দিন খান) যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে থাকে তাহলে আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি সেই শিবিরই সবচেয়ে ভালো।
বুধবার (২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টের কমেন্টে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তার এই কমমেন্টের পর থেকেই নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই পোস্ট দিতে থাকেন। যদিও বিষয়টি ব্যাখ্যা করে একটি পোস্ট দিয়েছেন ঢাবি অধ্যাপিকা শেহরীন আমিন মোনামি।
তিনি লিখেন, সম্প্রতি আমার একটা বক্তব্য নিয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে আমি আমার দিক থেকে বিষয়টা ব্যাখ্যা করার তাগিদ অনুভব করছি। আমার কোনো শিক্ষার্থী কী সংগঠন করে বা কোন্ মতাদর্শের সেটা আমার কাছে কখনও মুখ্য নয়। আমি ওটা নিয়ে কোনো চিন্তাও করিনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সাথে জড়িত নই।
তিনি আরও লিখেন, আমি আশা করব এবং সেই সাথে অনুরোধও যেনো আমার কোনো বক্তব্যকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা না হয়। কারণ একজনের লিখিত কমেন্ট/শব্দ/বক্তব্য চাইলেই যেকোন ভাবে উপস্থাপন করা যায়। আমি চাইবো আমাকে যারা জানেন, চেনেন তারা যেনো বিভ্রান্ত না হয়।
বারাত